আমানতকারীর মৃত্যুর পর টাকা পাবেন নমিনিই

বাংলাদেশ ব্যাংকআবারও নমিনির পক্ষেই অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকটি বলছে, ব্যাংকে টাকা রেখে কোনও আমানতকারীর মৃত্যু হলে তার নমিনি ছাড়া অন্য কারও কাছে টাকা দেওয়া যাবে না। রবিবার (৬ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই প্রজ্ঞাপনে নমিনি ছাড়া অন্য কারও কাছে টাকা না দেওয়ার জন্য দেশে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের জারি করা ছয় নম্বর প্রজ্ঞাপন মেনে চলতে হবে।
এর আগে, গত ১৯ এপ্রিল ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ ছয় নম্বর প্রজ্ঞাপনটি জারি করেছিল। অবশ্য আমানতকারীর মৃত্যুর পর নমিনির বিষয়ে এর আগেও কয়েকবার এই ধরনের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বেশ কয়েকটি ব্যাংক নমিনিকে অর্থ পরিশোধের ক্ষেত্রে ব্যাংক-কোম্পানি আইন মানছে না বলে অভিযোগ পাওয়ার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে এই ধরনের নির্দেশনা জারি করা হয় বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই ছয় নম্বর প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে, কিছু কিছু তফসিলি ব্যাংক আমানতকারীর মনোনীত নমিনির কাছ থেকে এ মর্মে অঙ্গীকার আদায় করছে যে, আমানতকারীর মৃত্যুর পর তাদের মনোনীত নমিনি বা নমিনিরা মৃত ব্যক্তির হিসাবে রক্ষিত আমানতপ্রাপ্তির যোগ্য বা উপযুক্ত প্রাপক হিসেবে বিবেচিত নাও হতে পারেন। বিষয়টি ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ (২০১৩ পর্যন্ত সংশোধিত)-এর ১০৩ ধারায় বর্ণিত নির্দেশনার পরিপন্থী। এ অবস্থায় আমানতকারী বা আমানতকারীদের মৃত্যুর পর তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রক্ষিত আমানতের অর্থ পরিশোধের ক্ষেত্রে ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ (২০১৩ পর্যন্ত সংশোধিত)-এর ধারা ১০৩ অনুসরণ করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ব্যাংক-কোম্পানি আইনের ওই ধারায় বলা হয়েছে, ব্যাংক-কোম্পানির কাছে রক্ষিত কোনও আমানত যদি একক ব্যক্তি বা যৌথভাবে একাধিক ব্যক্তির নামে জমা থাকে, তাহলে ওই একক আমানতকারী এককভাবে বা ক্ষেত্রমতো যৌথ আমানতকারীরা যৌথভাবে নির্ধারিত পদ্ধতিতে এক বা একাধিক ব্যক্তিকে মনোনীত করতে পারবেন। আমানতকারীর মৃত্যুর পর আমানতের টাকা মনোনীত ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের দিতে হবে।

আরও পড়ুন-

কাতারে সবজি রফতানির পরিমাণ কমেছে

/জিএম/