‘১৩২টি খাদ্য পণ্যে মাত্রাতিরিক্ত কেমিক্যালের ব্যবহার হয়েছে’

গোলটেবিল আলোচনায় উপস্থিত বক্তারা২০১৬ সালের জুন মাসে ৫২৪টি খাদ্য পণ্যের মধ্যে ১৩২টিতেই অতিরিক্ত মাত্রায় কেমিক্যাল বা রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) পরিচালক প্রকৌশলী আকবর হাকিম। শনিবার (৫ আগস্ট) ঢাকা চেম্বারে ‘নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণ ও নীতিমালা কার্যকর’ বিষয়ক এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
ডিসিসিআই ও ইউএসএআইডি’র এগ্রিকালচারাল ভ্যালু চেইনস (এভিসি) প্রজেক্টের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সলিডারিডেড নেটওয়ার্ক এশিয়া’র সাপ্লাই চেইন অ্যান্ড মার্কেট ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট মো. মজিবুল হক। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিসিসিআই-ডাই প্রকল্পের টিম লিডার মো. শোয়েব চৌধুরী, বাংলাদেশ সুপার মার্কেট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নিয়াজ রহিম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব ড. মো. আব্দুর রউফ, বাংলাদেশ কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশনের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর আহমেদ একরাম উল্ল্যাহ প্রমুখ।
আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রকৌশলী আকবর হাকিম বলেন, ‘শত প্রতিকূলতার মধ্যেও দেশের কৃষি খাত ক্রমশ উন্নতি লাভ করছে। যদিও নিরপাদ ও ভেজালমুক্ত শাক-সবজি, ফলমূল ও অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য প্রাপ্তির বিষয়টি বর্তমান সময়ে একটি উৎকণ্ঠার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ তিনি জানান, বাংলাদেশের কর্মক্ষেত্রে নিয়োজিত জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক কৃষিকাজে সম্পৃক্ত এবং গ্রামীণ অঞ্চলে এ সংখ্যা প্রায় ৮৭%। কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির পাশাপাশি জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান প্রায় ১৪.৭৯ শতাংশ বলেও জানান তিনি।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব ড. মো. আব্দুর রউফ বলেন, ‘দেশের কৃষিকাজে নিয়োজিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানদের মধ্যে কেমিক্যাল সার ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে অর্গানিক সার ব্যবহারের প্রবণতা বেড়েছে, যা একটি আশাব্যঞ্জক দিক।’
আলোচনায় উন্নত যাতায়ত ও সংরক্ষণ ব্যবস্থার অভাবে উৎপাদিত কৃষি পণ্যের প্রায় ৩৫ শতাংশ নষ্ট হচ্ছে বলে জানান বাংলাদেশ সুপার মার্কেট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নিয়াজ রহিম।
মো. শোয়েব চৌধুরী আলোচনায় বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের কৃষি পণ্য প্রতিবেশী দেশগুলোতে রফতানি হচ্ছে। তবে সময় এসেছে ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারে আমাদের কৃষি পণ্য রফতানির বিষয়ে মনোযোগী হওয়ার।’ তিনি কৃষিতে উদ্ভাবিত নতুন নতুন প্রযুক্তি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানান।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে মো. মজিবুল হক বলেন, ‘কৃষি পণ্য উৎপাদনের বহুমুখীকরণ এবং অবকাঠামো ও বাজার ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন একান্ত অপরিহার্য। এছাড়াও তিনি এ খাতের উন্নয়নে নীতিমালা সংশোধন ও যুগোপযোগী করার ওপর গুরুত্ব দেন।
/জিএম/টিআর/