সাত মাসে ওয়ালটনের ফ্রিজ বিক্রি বেড়েছে ৩০ শতাংশ

All Fridgeচলতি বছরের প্রথম সাত মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ওয়ালটনের ফ্রিজ বিক্রি বেড়েছে ৩০ দশমিক ২৯ শতাংশ। এছাড়া গত বেশ কয়েক বছর ধরেই স্থানীয় ফ্রিজের বাজারে ৭০ শতাংশেরও বেশি মার্কেট শেয়ার নিজেদের দখলে রেখেছে ওয়ালটন। আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ৫ লাখ ফ্রিজ বিক্রির টার্গেট রয়েছে তাদের। ২০১৭ সালে তাদের লক্ষ্যমাত্রা ১৭ লাখ ফ্রিজ বিক্রির। এরইমধ্যে গত ১ আগস্ট এক দিনেই লক্ষাধিক ফ্রিজ বিক্রির রেকর্ড গড়েছে ওয়ালটন।

চলতি বছর রুচিশীল গ্রাহকদের জন্য ইনভার্টার প্রযুক্তির ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটরের পাশাপাশি টেম্পারড গ্লাস ডোরের অসংখ্য মডেলের ফ্রিজ বাজারে ছেড়েছে ওয়ালটন। স্থানীয় বাজারে ওয়ালটনের নতুন মডেলের এসব ফ্রিজ ব্যাপক গ্রাহকপ্রিয়তা পেয়েছে। সার্বিকভাবে দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটনের ফ্রিজ বিক্রিও বেড়েছে উল্লেখযোগ্যহারে। যার প্রমাণ গত বছরের প্রথম সাত মাসের (জানুয়ারি থেকে জুলাই) তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে ফ্রিজ বিক্রিতে ৩০ দশমিক ২৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ওয়ালটনের।

ওয়ালটনের বিপণন বিভাগের প্রধান মো. এমদাদুল হক সরকার বলেন, স্থানীয় বাজারে গ্রাহক আস্থা ও চাহিদার শীর্ষে ওয়ালটন। ফলে, চলতি মাসের প্রথম দিনেই বিক্রি হয়েছে এক লাখেরও বেশি ফ্রিজ। যা স্থানীয় বাজারে একদিনে সর্বাধিক ফ্রিজ বিক্রয়ের রেকর্ড বলে জানান তিনি। তার প্রত্যাশা- স্থানীয় বাজারে চলতি বছরেও ওয়ালটনের নিরঙ্কুশ আধিপত্য বজায় থাকবে।

ওয়ালটনের সোর্সিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান আশরাফুল আম্বিয়া জানান, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ওয়ালটন ফ্রিজে প্রতিনিয়ত যুক্ত হচ্ছে বিশ্বের লেটেস্ট প্রযুক্তি। বাংলাদেশের জন্য ৪৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায়ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার সংরক্ষণের নিশ্চয়তায় তৈরি হচ্ছে ওয়ালটন ফ্রিজ। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউট (বিএসটিআই) কর্তৃক নির্ধারিত মানদণ্ড ‘বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস ১৮৫০:২০১২’ অনুসরণ করে উচ্চ গুণগতমানের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ফ্রিজ তৈরি করায় ওয়ালটন পেয়েছে ‘ফাইভ স্টার’ এনার্জি রেটিং।

তিনি আরও বলেন, ওয়ালটন ফ্রিজে ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির কম্প্রেসার সংযোজন করায় বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে ৫০ শতাংশের বেশি। এছাড়া, পরিবেশ সুরক্ষায় কম্প্রেসারে ব্যবহার করা হচ্ছে সিএফসি এবং এইচএফসিমুক্ত গ্রীণ গ্যাস আর৬০০এ রেফ্রিজারেন্ট। যা পরিবেশ সংরক্ষণের পাশাপাশি বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে।

কর্তৃপক্ষ জানায়, ওয়ালটনের প্রতিটি ফ্রিজ বাংলাদেশ এ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) স্বীকৃত আইএসও-১৭০২৫ সনদ প্রাপ্ত। বর্তমানে শতাধিক মডেলের ফ্রস্ট, নন-ফ্রস্ট এবং ডিপ ফ্রিজ উৎপাদন ও বাজারজাত করছে ওয়ালটন। এর মধ্যে রয়েছে ইনভার্টার প্রযুক্তির ১৬ টি মডেলের নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ, ৬টি মডেলের টেম্পারড গ্লাস ডোরের ফ্রস্ট ফ্রিজ। গ্রাহকরা ওয়ালটন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন মডেলের ফ্রস্ট ফ্রিজ ১১ হাজার ৬’শ টাকা থেকে ৩৫ হাজার ৩’শ টাকার মধ্যে কিনতে পারছেন। পাশাপাশি, বাজারে ২৮ হাজার ৫’শ টাকা থেকে ৩৬ হাজর ৫’শ টাকার মধ্যে টেম্পারড গ্লাস ডোর এবং ৫০ হাজার ৯৯০ টাকা থেকে ৬১ হাজার ৯’শ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ইনভার্টার প্রযুক্তির ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ফ্রিজ।

/এসএনএইচ/