এর আগে বাণিজ্যমন্ত্রী থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ‘হাইলেভেল ডায়ালগ অন এনহানসিং রিজিওন্যাল ট্রেড থ্রো ইফেকটিভ পার্টিসিপেশন ইন দ্য ডিজিটাল ইকোনমি’ শীর্ষক ডায়ালগে প্রথম প্যানেলিষ্ট হিসেবে বক্তব্য দেন।
এসকাপ এর আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এন্ড এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি ড. শামসাদ আক্তারের সভাপতিত্বে ডায়ালগে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, থাইল্যান্ডের অর্থ মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার কিয়েটচাই সোফাসটিনফং, কম্বোডিয়ার কমার্স মিনিস্টার পান সোরাসাক এবং থাইল্যান্ডে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘পেপারলেস ট্রেড এর সুবিধা নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ এ চুক্তিতে স্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত নেয়। বাংলাদেশের আমদানি রফতানি অফিস, জয়েন্ট স্টক কোম্পানি অফিস, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোসহ গুরুত্বপূর্ণ অফিসগুলোকে অটোমেশনের আওতায় আনা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের সুবিধার জন্য ইনফরমেশন পোর্টাল, গ্লোবাল ট্রেড ডানা চালু করা হয়েছে। এখন এ সব কাজ অনলাইনে সম্পন্ন করা হচ্ছে।’
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমদানি ও রফতানি সহজ করতে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলবন্দর, কাস্টমস, ভ্যাট ব্যবস্থাপনা ডিজিটার পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা হচ্ছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাঁচ হাজারের বেশি ডিজিটাল সেন্টার চালু করা হয়েছে। মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১১ কোটি ৯ লাখ এবং ছয় কোটি সাত লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। ই-গভর্নেন্স, ই-কমার্স, ই-ব্যাংকিং সুবিধা দেশের মানুষ ভোগ করছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা, ল্যান্ড রেজিষ্ট্রেশন সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, গত অর্থবছরে বাংলাদেশ প্রায় ৩৪ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে। এ বছর ৩৭ দশমিক পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সার্ভিস সেক্টরসহ এ রপ্তানি আয়ের পরিমাণ হবে ৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২১ সালে বাংলাদেশের রফতানি ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।’
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের রফতানি বাণিজ্য লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বৈদেশিক বাণিজ্যে সক্ষমতা অর্জনে পেপারলেস ট্রেড সহায়ক ভূমিকা রাখবে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘ ঘোষিত এমডিজি অর্জন করে পুরষ্কার লাভ করেছে। এখন ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জন করতে সফল ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গত দশকে বাংলাদেশে জিডিপি ছিল গড়ে ছয় ভাগের বেশি। গত বছর অর্জিত হয়েছে সাত দশমিক ১১ ভাগ। ফলে দেশে দরিদ্র মানুষের হার ২৪ দশমিক আট ভাগ এবং হতদরিদ্র মানুষের হার ১১ দশমিক ৯ ভাগে নেমে এসেছে। এসডিজি অর্জনের মধ্যদিয়ে অতিদরিদ্র মানুষের সংখ্যা তিন শতাংশের নিচে নেমে আসবে।’
এছাড়া তিনি ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের আমন্ত্রণে ৩১ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর কলম্বোয় অনুষ্ঠিতব্য ‘সেকেন্ড ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স-২০১৭’ এ যোগদান করে ১ সেপ্টেম্বর মিনিস্টার প্যানেলে বক্তব্য করবেন।
এতে ২৯টি দেশের প্রতিনিধি অংশ নেবেন। এ কনফারেন্সের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘পিস, প্রোগ্রেস অ্যান্ড প্রোসপারিটি।’
কনফারেন্সে বাণিজ্যমন্ত্রী ভারত মহাসাগরের তীরবর্তী অঞ্চলের দেশগুলোর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করবেন। এতে বাংলাদেশের সঙ্গে দেশগুলোর বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।