গত অর্থবছরে বাণিজ্য ঘাটতি ৮৮১৯ মিলিয়ন ডলার: সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রী

জাতীয় সংসদ (ছবি: সাজ্জাদ হোসেন)গত অর্থবছরে (২০১৬-১৬) দেশের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৮ হাজার ৮১৯ দশমিক শূন্য ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ অর্থবছরে আমদানি ব্যয় হয়েছে ৪৩ হাজার ৬৬৫ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং রফতানি আয় রয়েছে ৩৪ হাজার ৮৪৬ দশমিক ৮৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকার দলের এনামুল হক ও মামুনুর রশীদ কিরণের পৃথক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এ তথ্য জানান।


কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সোহরাব উদ্দিনের প্রশ্নের জবাব বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ‘চলতি (২০১৭-১৮) অর্থবছরে তৈরি পোষাক খাতের জন্য ৩০ দশমিক ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে।’
সরকারদলীয় মো. আব্দুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে ইতোমধ্যে স্থানীয় বাজারে বিভিন্ন মসলাসহ পেঁয়াজের দাম কমেছে। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে টিসিবির পক্ষ থেকে সারাদেশে ২ হাজার ৮২১ জন ডিলার, ১৮৫টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাক এবং ৯টি খুচরা বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী বিক্রি করা হয়েছে এবং হচ্ছে। এছাড়া ২০১৭–১৮ অর্থবছরে চিনি, সয়াবিন তেল, মশুর ডাল, ছোলা, খেজুর, পেঁয়াজ, আদা, রসুন ভোক্তাদের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রির পরিকল্পনা আছে।’
সরকারদলীয় সাংসদ নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ যেসব প্রধান প্রধান খাদ্য সামগ্রী আমদানি করে থাকে সেগুলো হলো—হিমায়িত ও জীবন্ত মাছ, সুপারি, গুড়া মসলা, চাল, গম, ভুট্টা, ডাল. তেল, দুধ, ও দুগ্ধজাতীয় পণ্য. চিপস, সুগার এবং সুগার কনফেকশনারি, কোমল পানীয়, ফল–মূল ইত্যাদি। আর যেসব পণ্য রফতানি হয় সেগুলো হলো—হিমায়িত ও জীবন্ত মাছ, পান, শাক-সবজি, সুপারি, নারিকেল, গুড়াসমলা, সুগন্ধি চাল, চিপস, কোমল পানীয়, ফলমূল ইত্যাদি।’
সরকার দলীয় গোলাম দস্তগীর গাজীর প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ জানান, ‘বর্তমানে বিশ্বের ৪৫টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি আছে। সেগুলো হলো— আলজেরিয়া, আলবেনিয়া, বুলগেরিয়া, ব্রাজিল, বেলারুশ, চেকোশ্লোভাকিয়া, মিশর, হাঙ্গেরি, ইরান, ইরাক, কেনিয়া, কুয়েত, লিবিয়া, মালি, মরক্কো, পোল্যান্ড, রোমানিয়া, সেনেগাল, সুদান, তুরস্ক, উগান্ডা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, আফগানিস্তান, উজবেকিস্তান, ইউক্রেন, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, চীন, ইউএসএসআর, যুগোশ্লাভিয়া, জিম্বাবুয়ে, জাম্বিয়া, জার্মানি, ভূটান, ভারত, মায়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং যুক্তরাষ্ট্র।’
সরকার দলীয় এম আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম জানান, ‘চলতি বছরের ২৯ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে চাকরির উদ্দেশে বিএমইটি থেকে বহির্গমন ছাড়পত্র নিয়ে যাওয়া কর্মীর সংখ্যা এক কোটি ১১ লাখ ৩৪ হাজার ২১১ জন। এর মধ্যে সৌদি আরবে সবচেয়ে বেশি ৩২ লাখ ২১ হাজার ৯৭৫জন কর্মী গিয়েছেন।’
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে রবিবার অধিবেশনের শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।