চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৪ শতাংশ: বিশ্বব্যাংক

বিশ্ব ব্যাংকচলতি অর্থবছরে বাংলাদেশে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। যদিও সরকার ৭ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ পূর্বাভাস তুলে ধরেন সংস্থার প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন।

জাহিদ হোসেন বলেন, ‘২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৪ শতাংশ হলেও সেটা ভালো প্রবৃদ্ধি। প্রবৃদ্ধির এ প্রাক্কলন একমাত্র ভারত ছাড়া বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে বেশি। আন্তর্জাতিক মূল্যায়নে এটা খুবই ভালো প্রবৃদ্ধি। ভারতে এবার ৭ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন দেওয়া হয়েছিল, সেটাও হয়তো থাকবে না।’

বিশ্বব্যাংকের ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, চলতি অর্থবছর চীনে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়াতে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ, থাইল্যান্ডে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ, পাকিস্তানে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে।

এক প্রশ্নের জবাবে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান বলেন, ‘বাংলাদেশ চাইলে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ৪০ কোটি ডলার দিতে প্রস্তুত রয়েছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাপী অভিবাসন সমস্যা মোকাবেলায় সংস্থাটির দুই বিলিয়ন ডলারের তহবিল রয়েছে। একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সেই তহবিল থেকে ৪০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ পেতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের আইডিআই-১৮ প্যাকেজের আওতায় ২০০ কোটি ডলার তহবিল রয়েছে। যে দেশে শরণার্থীর সংখ্যা ২৫ হাজারের বেশি তারা চাইলে এ তহবিল থেকে সর্বোচ্চ ৪০ কোটি ডলার সহায়তা পেতে পারে। বাংলাদেশে এখন রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা ২৫ হাজারের অনেক বেশি। ফলে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ সহায়তা পেতে পারে।’

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, ‘প্রস্তাবনা দেখে মোট সহায়তার অর্ধেক অনুদান ও অর্ধেক ঋণ হতে পারে, আবার পুরোটাও অনুদান হতে পারে।’

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্বব্যাংক মিয়ানমারের ওপর চাপ দেবে কি না, জানতে চাইলে চিমিয়াও ফান বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে বিশ্বব্যাংকও বিষয়টি মনিটর করছে।’