মেয়াদ শেষেই চলে যাবে অ্যাকর্ড

 

অ্যাকর্ডনির্ধারিত মেয়াদ শেষেই (২০১৮ সালের ৩১ মে) বাংলাদেশের কার্যক্রম গুটিয়ে চলে যেতে যাবে দেশের তৈরি পোশাক খাতে সংস্কারবিষয়ক ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড। তবে এই সময়ের মধ্যেই তারা দু’টি সংস্কার প্রতিবেদন (রিভিউ রিপোর্ট) দেবে। এ কাজটি করবে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন (বিজিএমইএ), সরকার, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ও অ্যাকর্ডের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত অন্তবর্তীকালীন একটি বিশেষ কমিটি। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বিকালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভকক্ষে অ্যাকর্ড নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ‘অন্তবর্তীকালীন কমিটি দু’টি প্রতিবেদনের মধ্যে কমিটি প্রথম প্রতিবেদনটি জমা দেবে ২০১৮ সালের ৩ জানুয়ারি। দ্বিতীয়টি জমা দেবে ৩১ মে। এই প্রতিবেদন দু’টি পর্যবেক্ষণ করে যদি দেখা যায় যে, এখনও আরও কিছু সংস্কার কার্যক্রম বাকি রয়েছে।  ওই কমিটিই নির্ধারণ করবে যে, অ্যাকর্ডের আরও কিছু সময় বাংলাদেশে কাজ করার প্রয়োজন আছে কিনা। তবে এমন প্রয়োজন রয়েছে বলে কমিটির কাছে প্রতীয়মান হলে কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে অ্যাকর্ডকে আরও ৬ মাসের (৩১ মে’র পরে) সময় দেওয়া যেতে পারে।’   

বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ছাড়াও শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক, বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু, বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত সোমবার বিজিএমইএ-এর সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় অ্যাকর্ডের। এ বৈঠকে যোগ দিতে আগেই ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন অ্যাকর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশের (অ্যাকর্ড) ১৫ সদস্যের পরিচালনা কমিটি।

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারে রানা প্লাজা ধসের পর একই বছরের ১৫ মে তৈরি পোশাকখাতে ইউরোপের ২০টি দেশসহ উত্তর আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার ২০০ ব্র্যান্ড ও খুচরা ক্রেতা এবং ট্রেড ইউনিয়নের সমন্বয়ে অ্যাকর্ড গঠিত হয়।