অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল এস এম মতিউর রহমান, এনবিআর সদস্য (কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) মো. আব্দুর রাজ্জাক বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
মো. নজিবুর রহমান বলেন, ‘এনবিআর সরকারের রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। রাজস্ব আহরণে এনবিআর সব ধরনের কর সেবা সম্প্রসারণ ও নাগরিকদের দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এর উজ্জ্বল উদাহরণ আজকে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের জন্য এই আয়কর ক্যাম্প।’
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা অত্যন্ত সুশৃঙ্খল। তারা দেশ সেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। দেশ সেবা যেমন ঈমানি দায়িত্ব, তেমনি কর দেওয়াও ঈমানি দায়িত্ব। কর দিয়ে দেশের উন্নয়ন সাধিত হয়। সেজন্য কর দিয়ে দেশ সেবায় তারা আরও বেশি অবদান রাখতে পারেন।’
তিনি উল্লেখ করেন, আয়কর সংগ্রহে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকা কম নয়। আয়কর তথা সব প্রকার রাজস্ব আহরণে সামরিক বাহিনীসহ সবার সহযোগিতা কামনা করেন মো. নজিবুর রহমান।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে কর অঞ্চল-৯ এর কমিশনার আতিয়ান নাহার বলেন, ‘কর অঞ্চল-৯ এর মোট রাজস্বের ৩৬ ভাগ যোগান দেয় সামরিক বাহিনী। বিশেষ করে তিন বাহিনীর কর্মকর্তারা। সেজন্য সামরিক বাহিনী হচ্ছে কর অঞ্চল-৯ এর গুরুত্বপূর্ণ স্টেক হোল্ডার। আমরা সব সময় কর সেবা তাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে চাই।’
মালঞ্চ অডিটোরিয়ামে তিন বাহিনীর কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজিত আয়কর ক্যাম্পে এক ছাদের নিচে আয়কর মেলার মতো সব ধরনের করসেবা প্রদান করা হচ্ছে। আয়কর ক্যাম্পে পৃথক বুথ থেকে আয়কর রিটার্ন গ্রহণ, আয়কর রিটার্ন সংক্রান্ত পরামর্শ প্রদান, ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন, রি-রেজিস্ট্রেশন, অনলাইনে রিটার্ন ফাইলিং এর ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড প্রদান এবং আয়কর সনদপত্র প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া, আয়কর জমার জন্য ব্যাংক বুথ, মেডিক্যাল ক্যাম্প রয়েছে। দু’দিনব্যাপী আয়কর ক্যাম্পে পাঁচ থেকে ছয় হাজার রিটার্ন দাখিল হবে বলে আশা করছেন কর্মকর্তারা। আয়কর ক্যাম্পের প্রথম দিন তিন বাহিনীর বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা রিটার্ন পূরণ, রিটার্ন দাখিল, ই-টিআইএন নেওয়াসহ কর সেবা নিতে ব্যাপক ভিড় করেছেন।