‘মিডিয়া আগের চেয়ে এখন বেশি দায়িত্বশীল’

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী (ফাইল ছবি)

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী বলেছেন, ‘মিডিয়া আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি দায়িত্বশীল। বিশেষ করে, এখন রিপোর্টিংয়ে তাদের ভুল কম হচ্ছে।’

বুধবার (২২ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত এক কর্মশালায় তিনি একথা বলেন। অর্থনৈতিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) ও বাংলাদেশ ব্যাংক যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।

এস কে সুর চৌধুরী বলেন, ‘না জেনে ঢিল ছুড়লে কাঁচা ও পাকা দুই ধরনের আমই পড়তে পারে। কিন্তু জেনে-বুঝে ঢিল ছুড়লে কেবল পাকা আমই পড়বে। রিপোর্টিংয়ের বেলায়ও একথা প্রযোজ্য। জেনে-বুঝে রিপোর্টিং করলে সবার জন্যই ভালো। এজন্য ব্যাংকিং বিষয়ে জানতে হবে। এ ধরনের কর্মশালায় সেটা সম্ভব। তাই আমরাও আগ্রহ নিয়ে কর্মশালাগুলোর আয়োজন করে থাকি।’

এর আগে কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গভর্নর ফজলে কবির বলেন, ‘ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ একটি গুরুতর সমস্যা। এই বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সিরিয়াসলি কনসার্ন। তবে আমি মনে করি, হঠাৎ দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়েনি। এটা দীর্ঘদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে।’

এসময় তিনিও রিপোর্টিং নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘যেটা সঠিক সেটা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কমেন্ট নিয়ে করলেও সঠিক, কমেন্ট না নিয়ে করলেও সঠিক। কিন্তু যেটা মিথ্যা সেটা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কমেন্ট নিয়ে লিখলেও ভুল।’

পরে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সনদ বিতরণ করেন ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ডেপুটি গভর্নর এসএম মনিরুজ্জামান, নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা, ইআরএফ’র সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলাল, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান প্রমুখ।

কর্মশালায় জানানো হয়, পেমেন্ট সিস্টেমকে আরও আধুনিক করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। সামনে আরও কিছু পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। এর মধ্যে একটি হলো, ই-চালান মেনেজম্যান্ট সিস্টেম চালু করা, যা ২০১৯ সালের মধ্যে চালু হবে। এছাড়া ২০২০ সালের মধ্যে ন্যাশনাল গেটওয়ে সিস্টেম চালু হবে।

মোবাইল ব্যাংকিং নিয়ে কর্মশালায় জানানো হয়, মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন এখন অনেক ব্যয় বহুল। এর কারণ দেশে এখনও এখানে প্রতিযোগিতা তৈরি হয়নি। আগামীতে যাতে প্রতিযোগিতা তৈরি হয়, সেজন্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের নীতিমালাকে আরও যুগোপযোগী করা হচ্ছে।

জাল নোট প্রতিরোধে বলা হয়, দেশে এখনও জাল নোট বিষয়ে তেমন কোনও শক্ত আইন নেই। এখন পর্যন্ত জালিয়াতি আইনেই মামলা হচ্ছে।