পাট সরবরাহকারীদের পাওনা পরিশোধ ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে: মির্জা আজম

ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ীদের সমাবেশে প্রতিমন্ত্রীসহ অতিথিরাবাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনকে (বিজেএমসি) পাট সরবরাহকারীদের গত অর্থবছরের বকেয়ার পুরোটাই আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে শতভাগ পরিশোধ করা হবে। এছাড়াও এই সময়ের মধ্যে বর্তমান অর্থবছরের পাওনা অর্থের ১০-১৫ ভাগ পরিশোধ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ী সমিতির সমাবেশে তিনি এ ঘোষণা দেন। সমাবেশে জানানো হয়, বিজেএমসির মিলগুলোয় গত অর্থবছরে পাট ক্রয় বাবদ ১১৮ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। এছাড়া, বর্তমান অর্থবছরের বকেয়া ৩৫০ কোটি টাকা।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশকে সোনালী আশেঁর দেশ হিসেবে রূপান্তর করে পাটের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে সরকার। বিজেএমসি অতীতের যেকোনও সময়ের তুলনায় বর্তমান সরকারের সময়ে সবচেয়ে স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এজন্য গত অর্থবছরে বিজেএমসির লোকসান ১৭০ কোটি টাকা কমানো সম্ভব হয়েছে।’ 

সভায় বিজেএমসি চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ী সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আব্দুল মালেক, সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ, সিনিয়র সহসভাপতি শেখ মো. সামিউল ইসলাম জুয়েলসহ জেলা-উপজেলা থেকে সমিতির প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন স্টোকহোল্ডাররা উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পাটশিল্পের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে বিজেএমসি, পাট চাষি, পাট ব্যবসায়ীসহ এ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে। কোনও ব্যবসায়ী যাতে মিলে নিম্নমানের পাট সরবরাহ না করে সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। বিজেএমসিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা সম্ভব হলে পাট চাষি, পাট ব্যবসায়ীসহ এ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই সবচেয়ে বেশি লাভবান হবেন।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকারের সুদক্ষ নেতৃত্ব ও পরিচালনায় পাটশিল্প খাতে নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। পাটশিল্পের এ অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখতে শেখ হাসিনার সরকার দেশের ভেতরে ধান, গম, চাল, ভুট্টা, চিনি এবং সারসহ ১১টি পণ্য মোড়কীকরণের ক্ষেত্রে পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন রফতানি বৃদ্ধি, দেশের ভেতরে পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি এবং পাটের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ ও পরিবেশ রক্ষায় পণ্যের মোড়কীকরণে পাটের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন শতভাগ বাস্তবায়ন হয়েছে। এ আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রতিবছর প্রায় ১০০ কোটি পাটের বস্তার চাহিদার সৃষ্টি হয়েছে।’