প্রি-পেইড মিটারে হয়রানি বন্ধের নির্দেশ

বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার

বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারের বিল দেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রাহক হয়রানি প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিআইরসি) বেঁধে দেওয়া রেটের বাইরে প্রিপেইড মিটারের গ্রাহকের কাছ থেকে অতিরিক্ত বিল আদায় করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
বুধবার (০৬ ডিসেম্বর)  বিদ্যুৎ বিভাগে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি পর্যালোচনা বৈঠকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়। বৈঠকে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, অনেকক্ষেত্রেই গ্রাহক দুই ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর বলা হচ্ছে সার্ভার নষ্ট বিল নেওয়া সম্ভব না। গ্রাহককে হয়রানি থেকে মুক্তি দিতেই প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হচ্ছে। কিন্তু উল্টো গ্রাহক হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন। এভাবে চলতে পারে না। তিনি বলেন, প্রিপেইড মিটারে বিল দেওয়া সহজ করার জন্য অ্যাপস তৈরি করতে হবে। যাতে গ্রাহক ঘরে বসেই বিল দিতে পারে।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে বিদ্যুৎ সচিব ড.আহমেদ কায়কাউস, পিডিবি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খালেদ মাহমুদ, আরইবি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিনসহ সব কোম্পানি এবং সংস্থা প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সূত্র জানায়, অতিরিক্ত বিলও আদায় করার বিষয়েও বিতরণ কোম্পানিকে বৈঠকে প্রশ্ন করা হয়। তাদের বলা হয়, কোনও ক্রমেই বিতরণ কোম্পানি বিইআরসির বেঁধে দেওয়া দামের বাইরে গিয়ে গ্রাহকের কাছ থেকে বিদ্যুৎ বিল আদায় করতে পারে না। তবে বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিরা বৈঠকে প্রতিমন্ত্রীর এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেন। তারা অতিরিক্ত বিল আদায় করেন না বলে দাবি করেন।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানায়, দেশে বর্তমানে বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা ২ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি। এর মধ্যে ৪ লাখ ৩৩ হাজার গ্রাহক বর্তমানে প্রিপেইড মিটার ব্যবহার করছে।