ইউক্রেনে শুল্ক ও কোটা ফ্রি সুবিধা চেয়েছে বাংলাদেশ

ইউক্রেনের বাজারে বাংলাদেশের পণ্যের শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা চেয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনয়র তথ্য কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ বকসী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইউক্রেনের প্রথম ভাইস প্রাইম মিনিস্টার স্টিপেন কুবিভের সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদইউরোপিয়ন ইউনিয়নের সদস্য হিসেবে ইউক্রেন বাংলাদেশের পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে ডিউটি ফ্রি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা দিতে পারে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘ইউক্রেন ইউরোপিয়ন ইউনিয়নে যোগদানের ফলে উভয় দেশের মধ্যে এ বাণিজ্য সুবিধা কাজে লাগানোর সুযোগ এসেছে। বাংলাদেশ এলডিসিভুক্ত দেশ হিসেবে বেশির ভাগ উন্নত দেশ থেকে পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে ডিউটি ফ্রি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা পেয়ে আসছে। সিদ্ধান্তের পর থেকেই ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন বাংলাদেশকে এ বাণিজ্য সুবিধা দিয়ে আসছে।’

আর্জেন্টিনায় ডব্লিউটিও এমসি-১১ তে যোগদানরত ইউক্রেনের প্রথম ভাইস প্রাইম মিনিস্টার অ্যান্ড মিনিস্টার অফ ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট স্টিপেন কুবিভ এর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সে ইউক্রেনের প্রথম ভাইস প্রাইম মিনিস্টার অ্যান্ড মিনিস্টার অফ ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট স্টিপেন কুবিভের সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইউক্রেনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগানোর জন্য উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে প্রথক চেম্বার গঠন প্রয়োজন। এ ছাড়া ব্যবসায়ীরা পারস্পরিক দেশ সফর করলে বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে।’

তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের সঙ্গে বাংলাদেশে বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও সহযোগিতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ এবং ইউক্রেনের মধ্যে বিশেষ বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদন করা প্রয়োজন।’ এসময় তিনি ওআইসির পর্যবেক্ষক হিসেবে অংশগ্রহণের জন্য ইউক্রেনকে সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন। ইউক্রেনের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে জাহাজ নির্মাণ, অবকাঠামো উন্নয়ন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসহ যেকোনও খাতে বিনিয়োগ করলে বাংলাদেশ সরকার প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দেবে।’

ইউক্রেনের প্রথম ভাইস প্রাইম মিনিস্টার স্টিপেন কুবিভ বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের নিয়ে চেম্বার গঠন ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলে সফর বিনিময়ের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের আশ্বাস দেন। এজন্য তিনি উভয় দেশের মধ্যে এক্সপার্ট গ্রুপ গঠনের প্রস্তাব দেন।

সফররত বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু, জেনেভা বাংলাদেশ মিশনের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মো. শামীম আহসান, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভিসি বিজয় ভট্টাচার্য, ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মো. মুনীর চৌধুরী এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।