পিপিপির ভিত্তিতে বিটিএমসির ১৩ মিল পরিচালনা করবে সরকার

বিটিএমসিবাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস কর্পোরেশনের (বিটিএমসি) ১৩টি মিল সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ১৫ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এই মিলগুলো দীর্ঘদিন ধরে অকেজো এবং জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর)সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারের অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়েছে। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
জানা গেছে, বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণে থাকা এসব মিলের অকেজো যন্ত্রপাতি সরিয়ে আধুনিক ও নতুন যন্ত্রপাতি স্থাপনের জন্য সরকারের সঙ্গে অংশীদার হিসেবে থাকবে বেসরকারি উদ্যোক্তারাও।
জানা গেছে, এই প্রস্তাব সংক্রান্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন, মিলের রক্ষণাবেক্ষণ, মিলে উৎপাদিত পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, পণ্যগুলো বাজারজাত করার দায়িত্বও থাকবে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের হাতে। শেয়ার বণ্টন নির্ধারণের পর আলোচনার মাধ্যমে লভ্যাংশ ভাগ করা হবে । প্রাথমিকভাবে বেসরকারি অংশীদারদের সঙ্গে ৩০ বছরের জন্য চুক্তি করা হবে। পরবর্তীতে টেন্ডারের মাধ্যমে বেসরকারি উদ্যোক্তা অথবা বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হবে।
বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানা এসব মিলের পরিত্যক্ত জমি রয়েছে প্রায় ৪শ’ একর। সরকারি জরিপে এসব জমির দাম ধরা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৫৯২ কোটি টাকা। নতুন করে এসব মিল চালু করার জন্য বেসরকারি উদ্যোক্তারা পিপিপি নীতিমালা অনুযায়ী বিনিয়োগ করবে।
জানা গেছে, বিটিএমসি) নিয়ন্ত্রণে থাকা চট্টগ্রামের আমিন টেক্সটাইল মিল, দ্য এশিয়াটিক কটন মিল, রাঙ্গামাটি টেক্সটাইল মিল, রাজশাহী টেক্সাটাইল মিল, সুন্দরবন টেক্সটাইল মিল, ফেনীর দোস্ত টেক্সটাইল মিলের প্রতিটির জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা। সাভারের আফসার কটন মিলের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২০০ কোটি টাকা। দিনাজপুরের জলিল ও দিনাজপুর টেক্সটাইল মিলের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার কোটি টাকা। নীলফামারীর দারোয়ানী টেক্সটাইল মিলের জন্যও বরাদ্দ ২ হাজার কোটি টাকা। ৬০০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে চট্টগ্রামের আর আর টেক্সটাইল মিল, মাগুরা টেক্সাটাইল মিল,যশোরের বেঙ্গল টেক্সটাইল মিলের জন্য।