বাসাবাড়িতে প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার এখন আর উপযুক্ত নয় বরং অপচয়। এ অবস্থায় এলপিজিই বড় সমাধান, এর দাম জনগণের সাধ্যের মধ্যে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীতে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় ‘পঞ্চম এশিয়া এলপিজি সম্মেলনে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের এলপিজি এবং জ্বালানি বাজার উন্নয়নের সুযোগ’ শীর্ষক সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার ম্যাগাজিনের সম্পাদক মোল্লা আমজাদ হোসেন। এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মো. ফয়জুল্লাহ, এলপিজি অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’র সভাপতি সালমান এফ রহমান, সহ-সভাপতি আজম জে চৌধুরী, এফবিসিসিআই’র সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, ওয়ার্ল্ড এলপিজি অ্যাসোসিয়েশনের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাইকেল কেলি, এলপিজি সামিটের পরিচালক ভিনসেন্ট চয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘প্রাকৃতিক গ্যাসের সংকট মোকাবিলায় বাসাবাড়িতে এলপি গ্যাস এবং পরিবহনে অটোগ্যাসের ব্যবহার হতে পারে বড় সমাধান। এলপিজি নিয়ে নীতিগত ঘাটতি অনেকটাই দূর হয়েছে। এখন গ্রাহকের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে এর দাম রেখে বাজারজাত করার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এখন সরকারি-বেসরকারি খাতের সংশ্লিষ্ট সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে।’
এসময় বক্তারা বলেন, ‘দেশে বর্তমানে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডারের বাণিজ্যিক ব্যবহার দ্রুতগতিতে বাড়ছে। কিন্তু বাসাবাড়িতে ব্যবহারের হার একইভাবে বাড়েনি। এর প্রধান দুইটি কারণের একটি হলো- বিদ্যমান আর্থসামাজিক অবস্থায় তৃণমূলের এ গ্যাস বেশি প্রয়োজন হলেও তা কেনার আর্থিক সামর্থ্য তাদের কম। অপরটি হলো- দুর্ঘটনাজনিত ভয়। জনগণের আস্থা অর্জন এবং ব্যবসা সম্প্রসারণে উৎপাদন খরচ কমানোর কার্যকর কৌশল ও মূল্য নির্ধারণে উদ্ভাবনী হতে হবে। একইসঙ্গে বাজার থেকে সব নিম্নমানের ও মেয়াদউত্তীর্ণ সিলিন্ডার সরিয়ে ফেলতে হবে।’