‘জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের বেশি হলেও আত্মতুষ্টির কিছু নেই’

 

‘বাংলাদেশ ডুয়িং বিজনেস’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারাউন্নয়নের জন্য দেশের আইন, প্রতিষ্ঠান ও অবকাঠামোসহ সামগ্রিক ব্যবস্থায় সংস্কার আনতে হবে বলে মনে করেন বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী মো. আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘গত অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ আমরা করেছি। এটা নিয়ে সুখী হতে পারি। কিন্তু জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের বেশি হলেও আত্মতুষ্টির কিছু নেই।’ শনিবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকার বনানীতে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ডুয়িং বিজনেস’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন ।

কাজী মো. আমিনুল ইসলাম  বলেন, ‘ট্রেড লজিস্টিকে আমরা প্রতিবছর ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা হারাচ্ছি, এখন গড়ে ১০ দিন পণ্যবাহী জাহাজকে বহিঃনোঙ্গরে থাকতে হয়, যা নিয়ে আমরা সামনে এগিয়ে যেতে পারব না।’ তিনি বলেন, ‘আমার তত্ত্ব হচ্ছে, বর্তমান অর্থনৈতিক অবকাঠামো দিয়ে আমরা আগাতে পারব না। পরের ধাপে যাওয়ার জন্য বৃহৎভাবে সংস্কার প্রয়োজন।’ তিনি উল্লেখ করেন, ‘২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত দেশের তালিকায় অবস্থান নেওয়ার যে লক্ষ্য সরকার ঠিক করেছে, তা অর্জনে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার আরও ১০ থেকে ১২ গুণ বাড়াতে হবে। বর্তমানে আমাদের মাথা পিছু আয় এক হাজার ৬০০ ডলারের কাছাকাছি, আমাদের দেশের মোট আয় ২৫৬ বিলিয়ন ডলারের মতো। ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হতে হলে ২৪ বছরের মধ্যে দেশের মোট আয় তিন ট্রিলিয়নে উন্নীত করতে হবে। অর্থাৎ ২৪ বছরের মধ্যে আজকের বাংলাদেশকে ১০ থেকে ১২ গুণ করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের (বিইআই) প্রেসিডেন্ট ও সাবেক রাষ্ট্রদূত ফারুক সোবহান বলেন, ‘বাংলাদেশের শিল্প খাত ও ব্যবসা-বাণিজ্যে যেসব ভারতীয় কাজ করেন, তারা বছরে ৩২ হাজার কোটি টাকা বৈধ পথে ভারতে নিয়ে যান।’ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে আলাপের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘অবৈধ পথে যে টাকা যায়, তা বিবেচনায় নিলে মোট পরিমাণ দ্বিগুণ হবে।’

পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পিআরআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান ড. সাদিক আহমেদ, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি নিহাদ কবির, পোশাক রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি পারভেজ আলম চৌধুরী, ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আসিফ ইব্রাহিম প্রমুখ।