সমাপনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এবারের বাণিজ্য মেলায় মোট স্টল ও প্যাভিলিয়ন ছিল ৫৮৯টি। এর মধ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়ন ছিল ১১২টি, মিনি প্যাভিলিয়ন ছিল ৭৭টি, স্টল ছিল চারশটি। ১৭টি দেশের মোট ৪৩টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নেয়।
বছরের প্রথম দিনেই আনুষ্ঠানিকভাবে মাসব্যাপী এই মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৩১ জানুয়ারি মেলা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ব্যাবসায়ীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) মেলার সময় বাড়ায় চার দিন। সেই অনুযায়ী আজ রবিবার শেষ হলো বাণিজ্য মেলা।
গতকাল শনিবার সাপ্তহিক ছুটির দিন বিকালে দর্শনার্থীদের সমাগম বেড়ে জনস্রোতে রূপ নেয়। আগতদের সবাই সাধ্যমতো কেনাকাটা করেছেন। মেলায় সবচেয়ে বেশি আগ্রহ দেখা গেছে বিভিন্ন গৃহস্থালী পণ্যে। প্লাস্টিকের বিভিন্ন পণ্যের পাশাপাশি প্রেশার কুকার, জুস মেকার, জুস ব্লেন্ডার, ওভেন, রাইস কুকার, ইস্ত্রি, ইন্ডাকশন চুলা, ফ্যানসহ বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক পণ্য বিক্রি হয়েছে বেশি। শেষ মুহূর্তে পণ্যের বিক্রি বাড়াতে সর্বোচ্চ ছাড় দিয়েছেন বিক্রেতারা, সঙ্গে ছিল বিভিন্ন ধরনের উপহার।
তারপরও ব্যবসায়ীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মেলার সময় চার দিন বাড়ানো হয়। বিক্রেতারা বলছেন, শৈত্যপ্রবাহের সময় তাদের বেচাবিক্রিতে যে ক্ষতি হয়েছিল, তা পুষিয়ে নিতে পেরেছেন বর্ধিত এই চার দিনে।
মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব আবদুর রউফ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আগের বছরের তুলনায় মেলায় ক্রেতা-বিক্রেতার সংখ্যা বেড়েছে। সবার সহযোগিতায় এবারের মেলা বেশ সফলভাবেই শেষ হলো।’