পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের অর্থ ছাড় এ মাসেই

পটুয়াখালীর পায়রায় এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের এ মাসেই অর্থ ছাড় হতে যাচ্ছে। এই প্রকল্পের জন্য ১ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে চীন। এরমধ্যে চলতি মাসে ৫২০ মিলিয়ন ডলার দেবে চীনের এক্সিম ব্যাংক। ইতিমধ্যে নিশ্চয়তাপত্র পেয়েছে বাস্তবায়নকারী কোম্পানিটি। বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সূত্র জানায়, পায়রাতে চীন ও বাংলাদেশের যৌথ মূলধনী কোম্পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করছে। আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির এ কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট উৎপাদনে আসবে আগামী ২০১৯ সালের জুন মাসে আর দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদনে আসবে একই বছর ডিসেম্বরে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে ইউনিট প্রতি উৎপাদন ব্যয় হবে ছয় টাকা ৬৫ পয়সা। চীন, অস্ট্রেলিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির জন্য কয়লা আমদানি করা হবে। এই কেন্দ্রে কয়লা সরবরাহের জন্য এরইমধ্যে অস্ট্রেলিয়ার একটি কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি (বিসিপিসিএল)।

বিসিপিসিএল জানায়, কেন্দ্রটির ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ের দিকে রয়েছে। চলতি বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূল যন্ত্রাংশ সংযোজন শুরু হবে। আগামী বছর জুনের মধ্যেই প্রথম ইউনিটের নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ।

বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, বিদ্যুৎকেন্দ্রটির সঞ্চালন লাইন নির্মাণে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) কিছুটা পিছিয়ে ছিল। আগামী বছর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের আগেই তাদের সঞ্চালন লাইন নির্মাণ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গতবছরের শেষে এই টাকা ছাড় হওয়ার কথা ছিল। যদিও এই টাকার জন্য এই প্রকল্পের কাজ বন্ধ ছিল না। এ কেন্দ্র নির্মাণে ২০ ভাগ টাকা দিয়েছে সরকার। বাকি ৮০ ভাগ ঋণ দিচ্ছে চায়না এক্সিম ব্যাংক। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির দরপত্রেই ঠিকাদারকে ঋণ সংস্থানের আগে ১৫ ভাগ অর্থ খরচ করার শর্ত দেওয়া হয়েছিল। এই শর্তের টাকা খরচ করেই কাজ শুরু করা হয়।

এ বিষয়ে বিসিপিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম খোরশেদুল আলম বলেন, চীনের নববর্ষ উৎযাপন অনুষ্ঠানের জন্য ঋণ ছাড়ে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। এরইমধ্যে আমরা নিশ্চয়তাপত্র পেয়েছি চলতি মাসে আশাকরি ঋণের অর্থও হাতে পাওয়া যাবে।  এতে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণ কাজ আরও গতিশীল হবে বলে জানান তিনি।