মোস্তাক আহমেদ সাদেক বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিছু বিষয়ে নমনীয় হলেই বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মঙ্গলবারের বৈঠকে শীর্ষ ৩০ ব্রোকারেজ প্রতিনিধিদের বক্তব্য শুনেছি। তাদের ব্ক্তব্যের ভিত্তিতে বলা যায়, পুঁজিবাজারের বর্তমান এ পরিস্থিতি বাংলাদেশ ব্যাংকের কারণেই হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে ফান্ড থাকার পরও এক্সপোজারের কারণে তারা বিনিয়োগ করতে পারছে না। বিনিয়োগ করলেই তাদের বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।’
মোস্তাক আহমেদ সাদেক বলেন, ‘বাজারে সাপোর্ট দিতে আমরা আইসিবিকে বরাবরই শক্তিশালী অবস্থান নিতে দেখেছি। তবে খোদ আইসিবিকেই যদি দুর্বল করে রাখা হয়; তাতে সাপোর্ট লেবেলও দুর্বল হয়ে যায়।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক এক সার্কুলারের মাধ্যমে ঋণ-আমানত অনুপাত সমন্বয় করার মেয়াদ ৬ মাস বাড়ালেও ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ দেওয়ার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে এ বিষয়টি বাজারের কোনও উপকারে আসছে না।’ বাংলাদেশ ব্যাংক সবকিছু বুঝেও জেগে ঘুমাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সরকারি ব্যাংকগুলোকেও দায়ী করে মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘সরকারি ব্যাংকগুলোতে সরকারের তহবিল ফান্ডের টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করলে সরকার এবং পুঁজিবাজার দুটিই লাভবান হবে। সরকার বাঁচলে ব্যাংক বাঁচবে আর ব্যাংক বাঁচলে দেশের পুঁজিবাজার বাঁচবে।’
মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে সেসব সমস্যা তৈরি হচ্ছে; সেগুলো সমাধান করতে হবে। বিশেষ করে এক্সপোজারের সমস্যা। আমরা আগে শীর্ষ ব্রোকারেজ প্রতিনিধিদের কাছ থেকে বেশকিছু প্রস্তাব নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি ও বাংলাদেশ ব্যাংককে দিয়েছি।’