পিসিটি চুক্তিতে বাংলাদেশের শিল্পখাতের উন্নয়ন প্রয়াস জোরদার হবে: ডব্লিউআইপিও

 

ডব্লিউআইপিও প্যাটেন্ট সহায়তা বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তিতে (পিসিটি) স্বাক্ষর করলে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব মেধাসম্পদ সংস্থার (ডব্লিউআইপিও) উপ-মহাপরিচালক জন বি. স্যান্ডেজ। তিনি বলেন, ‘এ চুক্তির ফলে বাংলাদেশের শিল্পখাতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, তথ্য প্রযুক্তির প্রয়োগ বৃদ্ধি ও পরিবেশবান্ধব সবুজ শিল্পায়নের প্রয়াস জোরদার হবে। ইতোমধ্যে বিশ্ব মেধাসম্পদ সংস্থার ১৫২টি সদস্য রাষ্ট্র এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।’ বাংলাদেশ সফররত জন বি. স্যান্ডেজ সোমবার (১৯ মার্চ) শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সঙ্গে বৈঠকে এ মন্তব্য করেন।

মতিঝিলস্থ শিল্প ভবনে শিল্প মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে শিল্পসচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্, পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস্ অধিদফতরের (ডিপিডিটি) রেজিস্ট্রার মো. সানোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে বাংলাদেশে গুণগত শিল্পায়নের ধারা জোরদারে বিশ্ব মেধাসম্পদ সংস্থার কারিগরি সহায়তার বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সময় বিশ্ব মেধাসম্পদ সংস্থার উপমহাপরিচালক বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিস্থিতির প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘টেকসই শিল্পায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের  উদ্যোগের ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আকৃষ্ট হচ্ছে। প্যাটেন্ট সহায়তাবিষয়ক চুক্তিতে স্বাক্ষর করলে এদেশে আরও বেশি বিনিয়োগ আসবে। বাংলাদেশে সবুজ শিল্পায়নের প্রয়াস বেগবান করতে বিশ্ব মেধাসম্পদ সংস্থার কারিগরি সহায়তা অব্যাহত থাকবে।’ এ চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে ট্রিপস্ চুক্তির সুবিধা পেতে কোনও সমস্যা হবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

এ সময় শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত সমৃদ্ধির মহাসড়ক ধরে এগিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এই সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে এ অর্জন উদযাপন করা হবে। সরকার দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে। প্যাটেন্ট সহায়তা বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তিতে স্বাক্ষরের বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে।’ তিনি বাংলাদেশে জ্ঞানভিত্তিক শিল্পায়নের ধারা জোরদারে  বিশ্ব মেধাসম্পদ সংস্থার অব্যাহত কারিগরী সহায়তা কামনা করেন।