চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই লক্ষ্যে পৌঁছাবে বাংলাদেশ: বাণিজ্যমন্ত্রী

 

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ (ফাইল ছবি: সংগৃহীত)বাঙালি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে জানে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হওয়ার সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাবে।’ বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেল আয়োজিত ‘এক্সপোর্ট ডাইভারসিফিকেশন অ্যান্ড কমপেটেটিভনেস ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টে-২-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু দু‘টি উদ্দেশ্য নিয়ে সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন। একটি হলো—বাংলাদেশকে স্বাধীন করা, অন্যটি বাঙালির  অর্থনৈতিক মুক্তি। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ স্বাধীন করে গেছেন, আজ তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক মুক্তির পথে সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার একধাপ এগিয়ে যাওয়া তারই প্রমাণ।’

উল্লেখ্য, ২৩টি দাতা দেশ, ৬টি আন্তর্জাতিক সংস্থা ও ৪৭টি স্বল্পোন্নত দেশ নিয়ে ১৯৯৭ সালে এ অংশীদারীমূলক প্রোগ্রাম শুরু হয়।  

অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে তৈরি পোশাক শিল্পের  রফতানিতে কোটা প্রথা বাতিল করা হয়েছিল। বাংলাদেশ সে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আজ পৃথিবীতে দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রফতানিকারক দেশ। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বিবাণিজ্যের সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। যে সব দেশ ও সংস্থা বাংলাদেশের রফতানি বাণিজ্যে দক্ষতা বৃদ্ধি ও বিশ্ববাণিজ্য প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে, তাদের প্রতি বাংলাদেশ কৃতজ্ঞ।’

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘একটি পণ্যের ওপর নির্ভর করে থাকলে চলবে না। রফতানি পণ্য সংখ্যা বাড়াতে হবে। বাজার সম্প্রসারণ করতে হবে। বাংলাদেশের আইসিটি খাত, ওষুধ শিল্প, জাহাজ নির্মাণ, কৃষিপণ্য রফতানি, চামড়াজাত পণ্য রফতানির মতো বেশ কিছু রফতানি খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে প্রবেশ করলেও আগামী ২০২৭ সাল পর্যন্ত এলডিসিভুক্ত দেশের সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবে। উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার পরও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো থেকে জিএসপি প্লাস নামে বাণিজ্য সুবিধা পাওয়া যাবে। তবে ২০২৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে। বিশ্ববাণিজ্য প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার যোগ্যতা অর্জন করবে। তখন বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্য আরও অনেক বৃদ্ধি পাবে।’

বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে  জাতিসংঘে নিযুক্ত এক্সক্লুসিভ সেক্রেটারিয়েট ফর ইআইএফ-এর নির্বাহী পরিচালক রত্নাকর অধিকারী, বিএফটিআই-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সাবেক সচিব  আলী আহমেদ, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভিসি বিজয় ভট্টাচার্য, এফবিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিজিএমই-এর প্রেসিডেন্ট মো. সিদ্দিকুর রহমান,  ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মো. মুনীর চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।