নির্মাণ শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি আইনের আওতায় আনা হবে: শ্রম প্রতিমন্ত্রী

ইনসাব-এর জাতীয় সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক (ছবি: পিআইডি)নির্মাণ শিল্পে নিরাপত্তা সর্বাগ্রে বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক। তিনি বলেন, ‘এ শিল্পের শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি আইনের আওতায় আনা হবে।’ বুধবার (২৮ মার্চ) রাজধানীতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন সেমিনার হলে ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন বাংলাদেশ (ইনসাব)-এর জাতীয় সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড স্কিল ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের সদস্য হয়েছে। সরকার দক্ষতা উন্নয়ন কাউন্সিলের (এনএসডিসি) অধীনে সেক্টরভিত্তিক ৬ মাস বা ১ বছর মেয়াদি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শ্রমিকদের বিশ্বের অন্যান্য দেশের সমমানের সনদ দেওয়া হবে। এতে এনএসডিসি থেকে শ্রমিকরা বিশ্বমানের সনদ নিয়ে নির্দিষ্ট কাজে বিদেশে গেলে অন্য দেশের শ্রমিকদের সমমানে মজুরি পাবেন।’ তিনি বলেন, ‘শ্রমিকদের জন্য অংশগ্রহণমূলক ভবিষ্যৎ তহবিল (পিপিএফ) গঠনের বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে।’ তিনি নির্মাণ শ্রমিকদের গুচ্ছ বীমায় নিয়মিত চাঁদা দেওয়ার আহ্বান জানান।

শ্রমিকদের পেশাগত রোগের চিকিৎসার জন্য পিপিপির মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জে ৩০০ শয্যার বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণ করা হচ্ছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এ হাসপাতালে শুধু শ্রমিকদের জন্য ১০০ শয্যা সংরক্ষিত থাকবে। শ্রমিকরা নামমাত্র মূল্যে বিভিন্ন রোগের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসার সুযোগ পাবেন। শুধু শ্রমিকদের জন্য উন্নতমানের বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণ বর্তমান সরকারের একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। নির্মাণ শ্রমিকসহ প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু, দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসা, শ্রমিকের সন্তানদের উচ্চশিক্ষার জন্য শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন থেকে কোটি কোটি টাকা অর্থ সহায়তা করা হচ্ছে।’

ইনসাব সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. ওসমান গনির সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা সালাউদ্দিন খোকা মোল্লা, প্রধান উপদেষ্টা আব্দুস সাত্তার হাওলাদার ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক একেএম শহিদুল হক ফারুক প্রমুখ। সম্মেলন শেষে ইনসাবের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।