ব্যক্তিগত করমুক্ত আয়ের সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা করার প্রস্তাব এফবিসিসিআই’র

এনবিআরের পরামর্শক সভায় প্রস্তাব রাখেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতিআগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তিগত করমুক্ত আয়ের সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। সংগঠনটি করপোরেট কর ২ দশমকি ৫ শতাংশ কমানো এবং ব্যক্তিগত করদাতার প্রদর্শিত নিট পরিসম্পদের ভিত্তিতে সারচার্জের শূন্য শতাংশের সীমা ৩ কোটি টাকা পর্যন্ত বাড়ানোসহ ১৬৬টি প্রস্তাব দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পারমর্শক কমিটির ৩৯তম সভায় এ প্রস্তাব দেন এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিতত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এসময় এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক ও বর্তমান নেতারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান আয়োজন করে এনবিআর ও এফবিসিসিআই।
অনুষ্ঠানে শফিকুল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, আসছে বাজেটে ব্যবসায়ীদের স্বার্থে আয়কর, আমদানি শুল্ক ও মূসক সম্পর্তি গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি প্রস্তাব করছি। এর মধ্যে আয়কর বিষয়ক প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে— ব্যক্তিগত করমুক্ত আয়ের সীমা আড়াই লাখ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৩ লাখ টাকা করা, করপোরেট কর ২ দশমকি ৫ শতাংশ কমিয়ে সব কোম্পানির করের হার ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনা, মূসক নিবন্ধনকারী তালিকাভুক্ত ট্রেডিং কোম্পানির ক্ষেত্রে ৩৫ শতাংশ করা, ব্যক্তিগত করদাতার প্রদর্শিত নিট পরিসম্পদের ভিত্তিতে সারচার্জের শূন্য শতাংশের সীমা আড়াই লাখ টাকা থেকে ৩ কোটি টাকা উন্নীত করা। এ ছাড়া, আমদানি ক্ষেত্রে অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার, মাল্টিলেয়ার ট্যাক্সেশন অর্থৎ লভ্যাংশের ওপর দ্বৈত কর প্রত্যাহারের প্রস্তাবও করেন তিনি।
অন্যদিকে আমদানি শুল্ক সম্পর্কিত এফবিসিসিআইয়ের প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে— দেশীয় শিল্পের বিকাশ, বর্ধিত হারে উৎপাদন, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান এবং ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণে শুল্ক স্তর ১, ২, ৫, ১০ ও ২৫ শতাংশের পবিবর্তে ১, ২, ৩, ১০ ও ২৫ শতাংশ করা; দেশীয় শিল্পের মৌলিক কাঁচামাল ও রসায়নিক জাতীয় পণ্যের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশের পরিবর্তে ৩ শতাংশ শুল্ক স্তর নির্ধারণ।
এ ছাড়া, স্টিল ও লোহা জাতীয় পণ্য, চিনি, সিমেন্ট ক্লিংকার ও পোট্রোলিয়াম জাতীয় পণ্যসহ ৪৭টি পণ্যে যে স্পেসিফিক ডিউটি ফি রয়েছে, তা অব্যাহত রাখার প্রস্তাবও করেন সংগঠনের সভাপতি।
নতুন ভ্যাট আইনের রেগুলেটরি ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট, ভ্যাট অনলাইন নিবন্ধন সম্পর্কিত বিধি চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন, ১৯৯১ সালের মূল্য সংযোজোন কর বিধিমালার ১৮(ঙ) ধারা বন্ধ করা এবং তৈরি পোশাক শিল্পের উৎপাদন সংশ্লিষ্ট পণ্য সরবরাহের সঙ্গে সংযুক্ত খাতে ভ্যাট প্রত্যাহার করা বেশকিছু বিষয়ে মূল্য সংযোজন কর সম্পর্কিত প্রস্তাব করা হয়।