‘কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আগামী বাজেটেও থাকবে’

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া

জাতীয় রাজস্ব বোডের্র (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেছেন, আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটেও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকবে। এই সুযোগ না দিলে বিদেশে অর্থ পাচার বেড়ে যাবে। আবার দেশেও বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে। এ কারণে জরিমানার বিধান রেখে বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হবে। মঙ্গলবার(১৭ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় এনবিআর চেয়ারম্যান এই কথা বলেন।

আলোচনায় আবাসন খাতে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ চায় আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)। সভায় তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআর চেয়ারম্যান জরিমানার বিধান রেখে বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার ঘোষণা দেন। সভায় এনবিআরের সদস্যসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রিহাবের প্রথম সহ-সভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া বলেন, অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুবিধার পাশাপাশি রেজিস্ট্রেশন ব্যয় নির্ধারণ করে আবাসন খাতে সেকেন্ডারি বাজার ব্যবস্থার প্রচলন করতে হবে। অর্থাৎ রেজিস্ট্রেশন ফি, স্ট্যাম্প ডিউটি, গেইন ট্যাক্স কমিয়ে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ করা, সাপ্লাইয়ার ভ্যাট ও উৎস কর সংগ্রহের দায়িত্ব থেকে ৫ বছর ডেভেলপারদেরকে অব্যাহতি এবং আবাসন খাতে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সিঙ্গেল ডিজিট সুদে দীর্ঘমেয়াদি রি-ফাইন্যান্সিং চালু এবং ২০ হাজার কোটি টাকার ফান্ড গঠনের প্রস্তাব করছি।

তিনি নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের আবাসন সমস্যা সমাধানে ফ্ল্যাটের নিবন্ধন ফি ৭ শতাংশ করার পাশাপাশি আবাসন শিল্প রক্ষায় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিদ্যমান মূল্য সংযোজন কর (মূসক) হ্রাস এবং নতুন মূসক আরোপ না করারও প্রস্তাব করেন। প্রাক বাজেট আলোচনায়, সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার অ্যাসোসিয়েশন, রি রোলিং মিলস অ্যাসোসিয়েশন, ইট, পাথর ব্যবসায়ী সমিতিসহ বিভিন্ন লিংকেজ শিল্পের প্রতিনিধিরা নিজ নিজ সংগঠনের প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।