বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ: মূলধনী কোম্পানি গঠনে চীনের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি

 

যৌথ মূলধনী কোম্পানি গঠনে চুক্তি স্বাক্ষর এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে চীনের কোম্পানি হুদিয়ান হংকংয়ের (সিএইচডিএইচকে) সঙ্গে যৌথ মূলধনী কোম্পানি গঠনে চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। মহেশখালী বিদ্যুৎহাবে কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হবে।

রবিবার (৬ মে) দুপুরে রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে যৌথ মূলধনী কোম্পানি গঠনে পিডিবির পক্ষে সংস্থার সচিব মিনা মাসুদ উজ্জামান এবং সিএইচডিএইচকের পক্ষে প্রতিষ্ঠানের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং ঝু চুক্তিতে সই করেন। 

চুক্তি সই অনুষ্ঠানের পর বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘অর্থনৈতিক কারণে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজে কিছুটা দেরি হচ্ছে।’ তিনি জানান, পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ ৩৮ ভাগ শেষ হয়েছে আর রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রর কাজ কিছুটা ধীরগতিতে চলছে।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎখাতের চলমান গতি অব্যাহত রাখতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি বিশেষ বিধানের মেয়াদ ৩ বছর বৃদ্ধি করা হচ্ছে। আগামী ১১ অক্টোবর বিশেষ এই বিধানের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগ বিধানটির মেয়াদ ২০২১ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে চায়।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, ‘চীনের সঙ্গে সই হওয়া কোম্পানিটির নাম হতে পারে বে অব বেঙ্গল পাওয়ার কোম্পানি। মহেশখালীতে যেখানে কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে তা বঙ্গোপসাগরের একটি দ্বীপ।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এর আগে চীনের সঙ্গে যৌথ মূলধনী কোম্পানি করে পায়রাতে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছি। এছাড়াও ভারতের এনটিপিসির সঙ্গে রামপালে যৌথ মূলধনী কোম্পানি করে পিডিবি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে।’

চীনা কোম্পানিটির সঙ্গে ২০১২ সালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য সমঝোতা স্মারক সই করে পিডিবি। এর ছয় বছর পর যৌথ মূলধনী কোম্পানি গঠন করা হলো। 

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কেন্দ্রের সমান মালিকানা থাকবে চীন এবং বাংলাদেশি কোম্পানির হাতে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি মহেশখালীতে পিডিবির পাঁচ হাজার একরের পাওয়ার হাবে নির্মাণ করা হবে। এই কেন্দ্রর জন্য ২০০ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। 

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে পিডিবির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খালিদ মাহমুদ জানান, কেন্দ্রটি আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে উৎপাদনে আসবে। সরকার মহেশখালীর পাওয়ার হাবকে ১০ হাজার মেগাওয়াটের হাবে রূপান্তর করছে। এখানে একটি আধুনিক নগরী গড়ে তোলা হবে। 

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে সিএইচডিএইচকের প্রেসিডেন্ট ফ্যাং ঝিয়াং বক্তব্য রাখেন। এসময় চীনের রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং ঝু উপস্থিত ছিলেন।