জুলাইয়ে ওমান থেকে আসছে এলএনজি

 

এলএনজি আমদানির জন্য ওমানের সঙ্গে পেট্রোবাংলার চুক্তি সই অনুষ্ঠানবছরে এক মিলিয়ন টন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির জন্য ওমান ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনালের (ওটিআই) সঙ্গে চুক্তি করেছে পেট্রোবাংলা।

রবিবার (৬ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর পেট্রোসেন্টারের সম্মেলন কক্ষে চুক্তিটি সই হয়। আগামী জুলাই থেকেই এলএনজি আনা যাবে। এলএনজি সেলস অ্যান্ড পার্চেজ এগ্রিমেন্টের আওতায় বাংলাদেশের কাছে এলএনজি বিক্রি করবে ওমান।

যুক্তরাষ্ট্র্রের কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির টার্মিনালের মাধ্যমে এই এলএনজি গ্যাসে রূপান্তর করে সরবরাহ করা হবে। প্রাথমিকভাবে প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দর পড়বে ৯ মার্কিন ডলার। তবে আন্তর্জাতিক বাজরে তেলের দাম ওঠানামার ফলে এই দাম বাড়তে বা কমতে পারে।

এলএনজি সেলস অ্যান্ড পার্চেজ এগ্রিমেন্টে পেট্রোবাংলার সচিব সৈয়দ আশফাকুজ্জামান এবং ওটিআইয়ের পক্ষে মাহির আর জাদজালি সই করেন। ১০ বছর মেয়াদি চুক্তির আওতায় ওটিআই পেট্রোবাংলাকে এই গ্যাস সরবরাহ করবে।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, জ্বালানি সচিব নাজিম উদ্দিন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মো. ফায়জুল্লাহ, রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানির (আরপিজিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামারুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে কাতারের এলএনজি সরবরাহকারী কোম্পানি রাস গ্যাসের সঙ্গে ১৫ বছর মেয়াদি চুক্তি করে বাংলাদেশ। ওই চুক্তি অনুযায়ী প্রতিবছর কমপক্ষে এক দশমিক ৮ থেকে ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন হারে এলএনজি কিনবে সরকার।

এক্সিলারেট এনার্জির ভাসমান এলএনজি টার্মিনালটি গতমাসের শেষদিকে মহেশখালীতে এসে পৌঁছেছে। টার্মিনালটির মাধ্যমে এ মাসের শেষদিকে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ শুরু হবে। এছাড়া, কক্সবাজারের মহেশখালী, পটুয়াখালীর পায়রা বন্দর ও কুতুবদিয়া এলাকায় এলএনএজি টার্মিনাল স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার।