বিদ্যুৎখাতের দায়মুক্তি আইন বাতিলের দাবি জাতীয় কমিটির

আনু মুহাম্মদ (ফাইল ছবি)তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, ‘সরকার দায়মুক্তি আইন দিয়ে জ্বালানি ও বিদ্যুৎখাতে একের পর এক অনিয়ম ও দুর্নীতি বাড়িয়ে নিজেদের অতীত রেকর্ড নিজেরাই ভঙ্গ করছে। অনিয়ম ও দুর্নীতির নতুন নতুন রেকর্ড তৈরি করছে। দেশকে অধিক থেকে অধিকতর হারে বিপদগ্রস্ত করছে। এই আইন বাতিল করে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই পথে বিদ্যুতের সমস্যার সমাধান করতে হবে।’

আজ সোমবার (৭ মে) গ্রিন রোডে জাতীয় কমিটির কার্যালয়ে কমিটির এক জরুরি সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতির বক্তব্যে কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ‘অযৌক্তিক ও দুর্নীতিগ্রস্ত এসব প্রকল্পের কারণে গ্যাস ও বিদ্যুৎ উভয়েরই দাম বাড়বে। দীর্ঘমেয়াদে শিল্পসহ উৎপাদনশীল খাতের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে।’

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন টিপু বিশ্বাস, রুহিন হোসেন প্রিন্স, আজিজুর রহমান, আবুল হাসান রুবেল, নজরুল ইসলাম, খালেকুজ্জামান লিপন, ফখরুদ্দিন কবির আতিক, খান আসাদুজ্জামান মাসুম প্রমুখ।

বৈঠক সূত্র জানায়, সভায় জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে সরকার গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি, চুক্তি ও পদক্ষেপ পর্যালোচনা করে আগামী ১২ মে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জাতীয় কমিটির বক্তব্য জনসমক্ষে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় অনিয়ম ও দুর্নীতির সর্বশেষ দৃষ্টান্ত হিসেবে দেশের গ্যাস অনুসন্ধান বাধাগ্রস্ত করে অনেক বেশি দামে এলএনজি আমদানির বিভিন্ন প্রকল্প পর্যালোচনা করা হয়।

সভায় বলা হয়, সুন্দরবনের বিপজ্জনক সীমানার মধ্যে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প ছাড়াও আরও অনেক প্রকল্প অনুমোদনের মাধ্যমে সরকার সুন্দরবনকে দেশি-বিদেশি লুটেরা গোষ্ঠীর অভয়ারণ্যে পরিণত করছে। কোনও প্রকার সমীক্ষা না করে দেশের পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে উপকূল রক্ষাকারী বন বিনাশ করে বরগুনা ও পটুয়াখালীতেও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। বড় আকারের দুর্নীতি ছাড়া এ ধরনের চুক্তি হতে পারে না। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটিকে দুর্নীতি, অনিয়ম জর্জরিত ও জননিরাপত্তার জন্য ভয়াবহ হুমকি সৃষ্টিকারী প্রকল্প হিসেবে আখ্যায়িত করেন বক্তারা।

সভায় দায়মুক্তি আইন ও পিএসপি-২০১৬ বাতিল করে জাতীয় কমিটির প্রস্তাবিত সুলভ পরিবেশবান্ধব ও টেকসই পথে বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানানো হয়।