জুনে ভারত থেকে আসছে আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ

বিদ্যুৎ সঞ্চালন

আগামী জুন মাসের মধ্যে ভারত থেকে আসছে আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। সাবস্টেশনের ক্ষমতা বাড়ানোর পর নতুন করে এই বিদ্যুৎ আসছে বাংলাদেশে। এর ফলে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে এক হাজার ১৬০ মেগাওয়াট।

ভেড়ামারা-বহরামপুর এইচভিডিসি সাবস্টেশনের এর ২য় ইউনিটের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এটি যে কোনও সময় উদ্বোধন করা হতে পারে বলে জানিয়েছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)।আগামী ১০ জুন থেকে এই বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হতে পারে বলেও জানিয়েছে তারা।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খালিদ মাহমুদ বলেন, আমরা আশা করছি ১০ জুন ভারত থেকে নতুন বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হবে। এখন শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

এই বিদ্যুৎ আমদানির জন্য এরইমধ্যে ভারতের কোম্পানি এনটিপিসি বিদ্যুৎ ভ্যাপার নিগাম লিমিটেড (এনভিভিএন) এবং পাওয়ার ট্রেডিং করপোরেশন (পিটিসি) ইন্ডিয়া লিমিটেডকে নির্বাচিত করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। গত ১১ এপ্রিল সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি তাদের দরপ্রস্তাব অনুমোদনও করেছে।  

পিডিবি সূত্র জানায়, বর্তমানে স্বল্প মেয়াদে ৩০০ ও ২০০ মেগাওয়াট করে ভারতের এই দুই কোম্পানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ কেনা হচ্ছে। সরকার স্বল্প এবং দীর্ঘ দুই মেয়াদে ভারত থেকে বিদ্যুৎ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০১৮ সালের ১ জুন থেকে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বল্প মেয়াদে এবং ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০৩৩ সালের ৩১ মে পর্যন্ত মেয়াদকে দীর্ঘমেয়াদ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।

পিডিবি সূত্র জানায়, এনভিভিএন (ইন্ডিয়া) থেকে স্বল্প মেয়াদে প্রতি ইউনিট ৪ টাকা ৭১ পয়সা দামে প্রতিদিন ৩০০ মেগাওয়াট এবং  পিটিসি ইন্ডিয়া থেকে প্রতি ইউনিট ৪ টাকা ৮৬ পয়সা দামে প্রতিদিন ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে। তবে দীর্ঘ মেয়াদে এনভিভিএন প্রতি ইউনিট ৬ টাকা ৪৮ পয়সা মূল্যে ৩০০ মেগাওয়াট এবং পিটিসি থেকে প্রতি ইউনিট ৬ টাকা ৫৪ পয়সা মূল্যে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে।

এদিকে বিদ্যুৎ কেনার বিষয়ে পিডিবির একজন কর্মকর্তা জানান, খুব শিগগির এজন্য বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পাওয়ার পারচেজ এগ্রিমেন্ট, পিপিএ) সই করা হবে। এই চুক্তি ১৫ বছর মেয়াদি হতে পারে।

বিদ্যুতের মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে ২০৪০ সালের মধ্যে ভারত, নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমার থেকে কমপক্ষে ৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা করা হয়েছে।

ভারত থেকে এখন ভেড়ামারা দিয়ে ৫০০ মেগাওয়াট এবং কুমিল্লা দিয়ে ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করে বাংলাদেশ।