বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেশের চাহিদা মিটিয়ে স্বর্ণকে বাণিজ্যিক নিয়মের আওতায় আনতেই এ নীতিমালা করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘‘স্বর্ণ আমদানির পর ‘ভ্যালু অ্যাড করে’ আবার তা রফতনি করার সুযোগ রয়েছে এই নীতিমালায়।’’
সভাশেষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, ‘অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটি এ নীতিমালাটির অনুমোদন দিয়েছে। তবে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই নীতিমালার চূড়ান্ত অনুমোদন নিতে হবে।’ তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এতদিন স্বর্ণ আমদানি হতো না, সব স্মাগলিং হতো। এখন আমদানি করা যাবে। দেশে এর আগে কোনও দিন স্বর্ণ আমদানি হয়নি।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘নীতিমালাটির ব্যাপারে এখন মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। নীতিমালা পাস হলে সোনা আমদানির লাইসেন্স নিতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে। সোনা বেচাকেনার জন্য একটা রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি হচ্ছে। এই রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্কের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, বাংলাদেশ ব্যাংক ডিলার নিয়োগ দেবে, যাদের মাধ্যমে সোনা আমদানি করা হবে।’