বাজেট বাস্তবায়ন নিয়ে আর সবার মতো আমাদেরও ভাবনা আছে: অর্থমন্ত্রী

সংসদে বাজেট উত্থাপনের আগে এর খসড়া অনুমোদনঅর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ‘বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আগামীতে আমরা অনেক ভালো অবস্থানে থাকবো। বাজেট বাস্তবায়ন নিয়ে আর সবার মতো আমাদেরও ভাবনা আছে। সেভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছি, উন্নতিও হচ্ছে। এই বছরের সংশোধিত বাজেট বাস্তবায়নের হার আবার ৯২ শতাংশ হবে বলে আশা করছি।’

বৃহস্পতিবার (৭ জুন) সংসদে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

বাজেট বক্তৃতার শেষ অংশে মুহিত বলেন, ‘বিগত বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় এবারও বাজেটের আকার বেড়েছে। উচ্চ প্রবৃদ্ধি পেতে হলে এর কোনও বিকল্পও নেই। এছাড়া, দেশের জনগণের জীবনমানে মৌলিক পরিবর্তন আনার অন্যতম পূর্বশর্ত হলো টেকসই উচ্চ প্রবৃদ্ধি। চলতি বছর পাইপলাইনে থাকা বৈদেশিক সাহায্য ব্যবহারে আমরা বেশ সফলতা দেখিয়েছি।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘রাজস্ব আহরণ ও সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা সংস্কারের যে উদ্যোগ আমরা নিয়েছি তাতে রাজস্ব আহরণ যেমন বাড়বে, তেমনি দক্ষ ব্যয় ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে রাজস্ব পরিসর বৃদ্ধি পাবে।’

আবদুল মুহিত বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো আমি লম্বা ও বিস্তৃত বাজেট বক্তৃতা দেই। সেটা ঠিক বটে। তবে এই বক্তব্য দেওয়ার উদ্দেশ্য হলো জনগণের দৃষ্টি বাজেটের প্রতি নিবদ্ধ করা।’

তিনি বলেন, ‘সামনের দিনগুলোতে আমরা প্রবৃদ্ধিকে সুসংহত ও টেকসই করবো। পাশাপাশি, সংস্কার ও প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নের মাধ্যমে সম্পদ ও সেবায় আপামর জনসাধারণের সহজ সুযোগ গ্রহণ নিশ্চিত করে উন্নয়নের সুফল সবার কাছে পৌঁছে দেবো। আমাদের লক্ষ্য যুগপৎ সমৃদ্ধি ও সাম্য।’

তিনি বলেন, ‘আজ দেশে-বিদেশে সবাই স্বীকার করে যে এ ১০ বছরে দেশ অনেকখানি এগিয়েছে। তবুও স্বপ্নের সীমারেখা এখনও স্পর্শ করা যায়নি। এটি নিরন্তর বহমান একটি প্রক্রিয়া। সব মিলিয়ে দেশকে কতটা দিতে পেরেছি তার মূল্যায়ন দেশবাসী আর বিশ্ব করছে। তবে এটুকু দ্বিধাহীন চিত্তে বলতে পরি আমার মননে ও কর্মে আমি কেবল আমার দেশের অগ্রযাত্রাকেই বিবেচনায় রেখেছি। আমি নিশ্চিত এ বাজেট বাস্তবায়নে দেশের আপামর জনগণ তাদের উদ্যোগ, সৃজনশীলতা, কর্মদক্ষতা, অংশিদারিত্ব এবং সর্বতোভাবে স্বতস্ফূর্ততা নিয়ে অংশগ্রহণ করবে।’

আরও পড়ুন- 

সংসদে চার লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী

ব্যক্তি আয় করসীমা অপরিবর্তিত থাকছে