বাজেটে ই-কমার্সকে পুনঃসংজ্ঞায়নের সুপারিশ

ই-ক্যাবের সংবাদ সম্মেলন২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ই-কমার্সকে পুনরায় সংজ্ঞায়িত করাসহ এই খাতে আরোপকৃত মূল্য সংযোজন কর (মূসক) থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করেছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)। 

শনিবার (৯ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ই-ক্যাব আয়োজিত ‘২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত বাজেট প্রতিক্রিয়া’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ সুপারিশ জানানো হয়। 

বক্তারা বলেন, আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে ই-কমার্সের মধ্যে ভার্চুয়াল বিজনেস ও অনলাইন পণ্য বিক্রয় বিষয় দু’টিকে আলাদাভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। সেখানে ভার্চুয়াল বিজনেসকে ইন্টারনেটে বা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পণ্য ক্রয়-বিক্রয়কে বোঝানো হয়েছে। এক্ষেত্রে ৫ শতাংশ হারে মূসক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। আর অনলাইনে পণ্য বিক্রয় বলতে ওইসব প্রতিষ্ঠান বোঝায় যাদের নির্দিষ্ট কোনও বিক্রয়কেন্দ্র নেই। অনলাইনই তাদের ব্যবসা কেন্দ্র।  

বাজেটে দেওয়া এসব সংজ্ঞার বিপরীতে ই-ক্যাব প্রস্তাবিত সংজ্ঞাটি হলো- যাদের নিজস্ব কোনও বিক্রয়কেন্দ্র নেই এবং ইলেক্ট্রনিক্স নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয় ও আর্থিক লেনদেনের জন্য ক্যাশ অন ডেলিভারি পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকে। আর যাদের নিজস্ব বিক্রয়কেন্দ্র থেকেও অনলাইনে ক্রয়-বিক্রয় ও আর্থিক লেনদেন করে তারা বা ওই প্রতিষ্ঠান ই-কমার্সের অন্তর্গত থাকবে। 

ই-ক্যাবের নেতারা আরও বলেন, এদেশে অনলাইন ব্যবসার প্রসার যতটুকু হয়েছে তার জন্য সরকারের সহায়তার অবদানই বেশি। কিন্তু সম্পূর্ণভাবে এই খাতটিকে দাড়া করাতে জনপ্রিয় করতে ব্যবসায়ীদের উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদী বা কমপক্ষে আগামী ১০ বছর ই-কমার্সের ওপর মূসক পুরোপুরি অব্যাহতি দিতে হবে। কেননা এখনও অনলাইনে ব্যবসা শুধু শহরকেন্দ্রিক হয়ে আছে। এটাকে সারাদেশব্যপী ছড়িয়ে না দিলে ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে না।

ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সারের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল, সহ-সভাপতি রেজওয়ানুল হক, অর্থ-সম্পাদক আব্দুল হক, যুগ্ম সম্পাদক নাসিমা আক্তার নিশা, আশিক চক্রবর্তীসহ প্রমুখ।