‘গুঁড়ো দুধের আমদানি শুল্ক কমানোর কারণে ক্ষতির সম্মুখীন দুগ্ধ উৎপাদনকারী খাত’

28698577_1876890962384836_1738241630074610279_oগুঁড়ো দুধের আমদানি শুল্ক কমিয়ে দুগ্ধ উৎপাদনকারী খাতকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএফএ)। মঙ্গলবার (১২ জুন) সকালে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে গুঁড়ো দুধের ওপর শুল্ক হ্রাস না কমিয়ে বিদ্যমান শুল্ক বহাল রাখার পাশপাশি অতিরিক্ত ৩০ শতাংশ এন্টি-ডাম্পিং ডিউটি আরোপের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

বিডিএফএ সভাপতি ইমরান হোসেনের আশঙ্কা এই প্রস্তাবনা পাস হলে সারাদেশের লাখো খামারির সর্বনাশ ও এখানে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হবে। তিনি বলেছেন, ‘দুগ্ধ উৎপাদনে সাধারণ খামারিরা পারদর্শিতা দেখাতে শুরু করেছেন। আমদানি নির্ভরতা কমে আসতে শুরু করেছে। দুগ্ধ উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে সরকার ইতিবাচক উদ্যোগ নিচ্ছে। এমনকি বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। এমন সময়ে গুঁড়ো দুধের ওপর শুল্ক হ্রাস কমানো সরকারের নীতিকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে।’

সংগঠনটির মহাসচিব শাহ এমরান বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে গুঁড়ো দুধের আমদানি ক্রমান্বয়ে বেড়েছে। এতে এক ধরনের কমিশন বাণিজ্য কাজ করছে। শুরুর দিকে গুঁড়ো দুধের ওপর আমদানি শুল্ক ছিল প্রায় ৫১ শতাংশ। গত অর্থবছরে এই হার ছিল ২৫ শতাংশ। কিন্তু এ বছর তা ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করা হয়েছে। বাজেট বক্তৃতায় ফিল্ড মিল্ক পাউডারের (এফএমপি) পুষ্টি গুণের কথা উঠে এসেছে। কিন্তু এটি মূলত দুধ থেকে প্রাণিজ ফ্যাট তুলে নিয়ে তাতে ভেজিটেবল ফ্যাট মিশিয়ে তৈরি করা একটি পণ্য। সেই অর্থে এটি একটি কৃত্রিম পণ্য।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন জাতীয় দুগ্ধ ডেভেলপমেন্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও ব্র্যাকের ডেইরি অ্যান্ড ফুড বিভাগের পরিচালক আনিসুর রহমান, বাংলাদেশ এসএমই করপোরেশনের পরিচালক আজাদ চৌধুরী, অক্সফামের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মুহতাসিম বিল্লাহসহ অনেকে।