ব্রাসেলস গেলেন বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ (ফাইল ছবি)সাসটেইনেবিলিটি কম্প্যাক্টের চতুর্থ পর্যালোচনা সভা এবং রেসপনসিবল পারচুয়িং প্র্যাকটিসেস বিষয়ক কর্মশালায় যোগ দিতে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে গেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি রবিবার (২৪ জুন) ব্রাসেলসের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন।

ব্রাসেলসে কাল সোমবার (২৫ জুন) সাসটেইনেবিলিটি কম্প্যাক্টের চতুর্থ পর্যালোচনা সভা এবং মঙ্গলবার রেসপনসিবল পারচুয়িং প্র্যাকটিসেস বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে।

সাভারে রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর তৈরি পোশাক খাতে নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও শ্রমিক অধিকার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ২০১৩ সালের ৮ জুলাই বাংলাদেশ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) কর্তৃক সাসটেইনেবিলিটি কম্প্যাক্ট গৃহীত হয়। এর প্রথম পর্যালোচনা সভা ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত হয় ২০১৪ সালের ২০ অক্টোবর। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সভা ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় ২০১৬ সালের ২৮ জানুয়ারি এবং ২০১৭ সালের ১৮ মে তারিখে।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চতুর্থ পর্যালোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে। সভায় ইইউ, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, আইএলওসহ  দাতাসংস্থা, উৎপাদনকারী, ক্রেতা, ট্রেড ইউনিয়ন ও সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ বকসী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল এ পর্যালোচনা সভায় যোগদান করছে। প্রতিনিধিদলে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক চুন্নু, বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব আফরোজা খান, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মোহাম্মদ শফিউল ইসলাম, বিজিএমইএর সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, বেপজার  নির্বাহী পরিচালক মেজর জেনারেল হাবিবুর রহমান খান, বিকেএমইএর প্রতিনিধি, বাংলাদেশ অ্যামপ্লয়ার্স ফেডারেশনের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সিনিয়র কর্মকর্তারা এ প্রতিনিধিদলে রয়েছেন। ব্রাসেলসে নিযুক্ত বাংরাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সাহাদাত হোসেন বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন।

এবারের পর্যালোচনা সভা বাংলাদেশের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সভায় শ্রমিকদের অধিকার, বিল্ডিং সেফটি, পেশাগত ও স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা এবং মানসম্মত বাণিজ্য পরিবেশ বিষয়ে পর্যালোচনা করা হবে। মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ক্রেতাগোষ্ঠী ও শ্রম সংস্থার চাহিদা অনুযায়ী সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে উদ্যোগ গ্রহণ করে বাংলাদেশ বিষয়গুলোর ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করেছে এবং আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে সফলভাবে পৌঁছে গেছে। বিশ্বের কাছে বিষয়গুলো এখন গ্রহণযোগ্য। বর্তমানে বাংলাদেশে তৈরি পোশাক কারখানার কাজের পরিবেশ, নিরাপত্তা এবং শ্রমিকদের অধিকার বিগত যেকোনও সময়ের চেয়ে অনেক ভালো এবং বিশ্বমানের। দেশে একের পর এক গ্রিন ফ্যাক্টরি গড়ে উঠছে। আশা করা হচ্ছে, শ্রমিকদের অধিকার, কর্মবান্ধব পরিবেশ ও নিরাপত্তা নিয়ে বাংলাদেশ সন্তোষজনক অবস্থানে থাকবে। কর্মশালায় বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের সরবরাহ চেইনের প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণসহ পণ্যের উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিতকরণের বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে এবং সুপারিশমালা গ্রহণ করা হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী আগামী ২৭ জুন দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।