বৈঠক শেষে বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিএলএফসিএ) চেয়ারম্যান ও ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের এমডি মো. খলিলুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘একসপ্তাহের মধ্যে স্ব স্ব বোর্ডর সিদ্ধান্ত নিয়ে এটির (সিঙ্গেল ডিজিট সুদে ঋণ) কাজ শুরু করা হবে। তবে এটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে কয়েকমাস সময় লাগবে।’
খলিলুর রহমান বলেন, ‘দেশের স্বার্থে, অর্থনীতির স্বার্থে আমরা সিঙ্গেল ডিজিট কার্যকর করতে চাই। শিল্পায়ন ও উচ্চতর প্রবৃদ্ধির জন্য এটি সহায়ক। বেসরকারি ব্যাংকগুলো ৬ শতাংশ সুদে সরকারি ব্যাংক থেকে আমানত নিতে পারবে। সেটি আমরা সাড়ে ৬ শতাংশ সুদে পাবো বলে আশা করছি। আমরা আমানতের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৭ এবং ঋণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ সুদ কার্যকর করবো।’
এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান বলেন, ‘ব্যাংকগুলোর মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সিঙ্গেল ডিজিটে সুদহার নামিয়ে আনবে। প্রতিষ্ঠানগুলোর স্ব স্ব বোর্ড এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’ তিনি বলেন, ‘আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ডিপোজিট রেট ব্যাংকের তুলনায় বেশি হলেও তাদের ঋণ-আমানতের ব্যবধান (স্প্রেড) কম। এ জন্য তাদের আমানতের সুদহার একটু বেশি হলেও ঋণের সুদ সিঙ্গেল ডিজিটে আনতে পারবে।’
আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিকল্প অর্থ সংগ্রহের পরামর্শ দিয়ে ডেপুটি গভর্নর বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে বিকল্প উপায়ে অর্থ বা আমানত সংগ্রহের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তারা যেহেতু দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করে, সেহেতু দীর্ঘমেয়াদি অর্থ আনতে হবে। সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক থেকে ৬ শতাংশ সুদে আমানত সংগ্রহের জন্য পারস্পরিক আলোচনা ও সমঝোতা করতে বলা হয়েছে ‘
এ সময় দেশের আর্থিক খাতের প্রথম প্রতিষ্ঠান ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রমোশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির (আইপিডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মমিনুল ইসলাম ও বে লিজিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইফতেখার আলী খান উপস্থিত ছিলেন।