‘ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনা জরুরি’





বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান (ছবি: সংগৃহীত)ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যে বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে, দুদেশের স্বার্থে তা কমিয়ে আনা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সীমানা অনেক বড়। কিন্তু দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি বিশাল। গত বছর বাংলাদেশ ভারত থেকে ৫ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি আমদানি করেছে। এই বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে হবে।’


শনিবার (২১ জুলাই) বিকালে বিজিএমইএ ভবনে বাংলাদেশ বিজিএমইএ নেতাদের সঙ্গে ভারতের সুতা ও কাপড় রপ্তানিকারকদের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে একথা বলেন সিদ্দিকুর রহমান।
বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বৈঠকে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। অপরদিকে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের প্রধান হিসেবে ছিলেন– কটন টেক্সটাইল এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান উজ্জল লাহতি। তার সঙ্গে ছিলেন ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তা শিতন নর্ডন কার্গেলও।

বিজিএমইএ সভাপতি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে ভারতে রফতানির ক্ষেত্রে বন্দর, পণ্য পরীক্ষা ও বকেয়াসহ যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে সেগুলো দূর করা না গেলে দুই দেশের বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ তিনি বলেন, ‘সুতা, ফেব্রিক্সসহ পোশাক তৈরির গুরুত্বপূর্ণ উপকরণগুলোর ৫০ ভাগই ভারত থেকে আমদানি করে বাংলাদেশ। বিপরীতে বাংলাদেশ মাত্র ২৭৯ মিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানি করে ভারতে। রফতানির ক্ষেত্রেও নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের। বিশেষ করে বেনাপোল-পেট্রোপোল বন্দরে শুল্ক জটিলতা, ভারতীয় বন্দরে বাংলাদেশি পণ্য পরীক্ষার সনদ গ্রহণ না করা এবং ভারতীয় আমদানিকারকদের কাছে অর্থ বকেয়া থাকা বড় ধরনের সমস্যা হিসেবে দেখা দিচ্ছে। দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে এসব সমস্যার সমাধান জরুরি।’