বড়পুকুরিয়ার কয়লার অনিয়ম অনুসন্ধান করবে দুদক





বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লার অনিয়মের বিষয়টি অনুসন্ধানের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (২৩ জুলাই) বিকেলে দুদকের উপ পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, দুদকের উপপরিচালক শামসুল আলমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সহকারী পরিচালক এ এস এম সাজ্জাদ হোসেন ও উপ সহকারী পরিচালক এ এস এম তাজুল ইসলাম। কমিটির কাজে পরামর্শ ও তদারকি করবেন দুদকের পরিচালক কাজী শফিকুল আলম।
উল্লেখ্য, কয়লা সংকটের কারণে গতকাল রবিবার (২২ জুলাই) রাত ১০টা ২০ মিনিটে বড়পুকুরিয়া কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সদস্য (জনসংযোগ) সাইফুল হাসান চৌধুরী জানান, এই কেন্দ্রের দুই ইউনিটের একটিতে ৮৫ মেগাওয়াট, অন্যটিতে ২৭৫ মেগাওয়াট মিলিয়ে মোট ৩৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো। কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন এই বিদ্যুৎ ঘাটতিতে পড়তে হবে।
প্রতিবছর একবার শিফট পরিবর্তন করে কয়লাখনি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শিফট পরিবর্তনের আগে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য পর্যাপ্ত কয়লা মজুদ রাখা হয়। এবারও পিডিবিকে এক লাখ টনের বেশি মজুদ রয়েছে বলে খনি কর্তৃপক্ষ জানায়। গত সপ্তাহে পিডিবির সদস্য (উৎপাদন) সাঈদ আহমেদ বড়পুকুরিয়া খনি পরিদর্শন করে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকায় ১০ হাজার টন মজুদ পান।

পিডিবি জানায়, কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রর তিনটি ইউনিট একসঙ্গে চালানো হলে প্রতিদিন পাঁচ হাজার মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন হয়।এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে বিদ্যুৎ সংকট তৈরি হতে পারে।
আরও পড়ুন: কয়লার অভাবে বন্ধ হয়ে গেলো বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্র