শাহজালালের কার্গো ব্যবস্থাপনায় সন্তুষ্ট যুক্তরাজ্যের ডিএফটি

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রফতানি কার্গো কমপ্লায়েন্সের ওপর যৌথ মূল্যায়ন হয়েছে। বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও যুক্তরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট ফর ট্রান্সপোর্টের (ডিএফটি) প্রতিনিধি দল এই যৌথ মূল্যায়ন পরিচালনা করে। দুই দিনের মূল্যায়ন শেষে সফরকারী দলটি রফতানি কার্গো ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম সন্তোষজনক বলে মতামত ব্যক্ত করেন ও বাংলাদেশের দলনেতার সঙ্গে যৌথ মূল্যায়ন প্রতিবেদনে স্বাক্ষর করেন। বুধবার (১ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

জানা গেছে, ৩১ জুলাই ও ১ আগস্ট শুধু রফতানি কার্গো কমপ্লায়েন্সের ওপর যৌথ মূল্যায়ন পরিচালনা করা হয়। এতে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেন বেবিচকের সদস্য এয়ার কমোডর মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান ও যুক্তরাজ্যের ডিএফটি দলের নেতৃত্ব দেন এভিয়েশন সিকিউরিটির লিয়াজো অফিসার নকিব আকবর। প্রথম দিনে সব ধরনের ট্রেনিং রেকর্ড, নথিপত্র ও সংশিস্নষ্ট সবার পারদর্শিতা ও যোগ্যতা সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়। শেষ দিনে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সংযোজিত এক্সপ্রোসিভ ডিটেকশন ডগের (ইডিডি) মাধ্যমে কার্গো স্ক্যানিংয়ের কার্যক্রম প্রত্যক্ষ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।

মূল্যায়নের সবক্ষেত্রে বেবিচক, এভিয়েশন সিকিউরিটি (এভসেক) ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স শতভাগ সাফল্য অর্থাৎ ক্যাটাগরি-১ অর্জন করে, যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। এতে প্রতিফলিত হয় সর্বোচ্চ মানদণ্ড।

ডিএফটি আলোচনাকালে জানায়, বাংলাদেশের মতো অনেক দেশের ওপর যুক্তরাজ্যগামী কার্গো পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাজ্য। যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করায় স্বল্পতম সময়ে কার্গো পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হওয়া বাংলাদেশই একমাত্র দেশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২০১৬ সাল থেকে বেবিচক বাংলাদেশের সব বিমানবন্দরে বিশেষ করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এভিয়েশন সিকিউরিটির মানোন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংস্থাপন করা হয় ডুয়েল ভিউ এক্স-রে মেশিন, এক্সপ্রোসিভ ডিটেকশন সিসটেম (ইডিএস) ইত্যাদি অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি।

এভিয়েশন সিকিউরিটি ক্রোড়পত্রে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সম্পাদন করেছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য। এর আওতায় ২০১৭ সালের নভেম্বরে একটি যৌথ মূল্যায়ন পরিচালনা করা হয়। এই মূল্যায়ন সন্তোষজনক হওয়ায় এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ থেকে সরাসরি যুক্তরাজ্যগামী কার্গো নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। এতে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধি পায় ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে অনেক লাভবান হয়। ইতোমধ্যে গত এপ্রিলে আরেকটি যৌথ মূল্যায়ন পরিচালনা করা হয়। এতেও বাংলাদেশ কমপ্লায়েন্সের ধারাবাহিকতা বজায় রাখে।