সঞ্চয়পত্রের সুদহার সমন্বয়ে কমিটি গঠন

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতসঞ্চয়পত্রের সুদহার কমানো যায় কিনা বা কমালে কতটুকু কমানো যাবে আর কীভাবে কার্যকর করা হবে তা ঠিক করতে কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি জানিয়েছেন, এ কমিটি আগামী দুই মাসের মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ে রিপোর্ট দেবে। সঞ্চয়পত্রের সুদহার সমন্বয় করতেই এই কমিটি করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৭ আগস্ট) অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানিয়েছেন তিনি। সঞ্চয়পত্রের সুদহার সমন্বয় করার উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব ইউনুসুর রহমান, অর্থ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের মহাপরিচালক বেগম শামসুন্নাহারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, সরকার সুদহার কমাতে চায়। এজন্য অর্থ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ব্যাংক আমানতে ৬ শতাংশ ও ঋণে ৯ শতাংশ সুদহার কার্যকর হচ্ছে আগামী ৯ আগস্ট থেকে। এতে ব্যাংক আমানতে সুদহার ও সঞ্চয়পত্রে সুদহার পার্থক্য অনেক বেড়ে যাচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকেই সঞ্চয়পত্র অধিদফতরের সব কার্যক্রম অটোমেশন (স্বয়ংক্রিয়) হবে। এ অটোমেশনে ন্যাশনাল আইডি কার্ডের সঙ্গে লিংক থাকবে। তাই কেউ সীমার অতিরিক্ত সঞ্চয়পত্র কিনছে কিনা সেটি সহজেই ধরা পড়বে। সঞ্চয়পত্রে কালো টাকা বিনিয়োগ বন্ধে আগামীতে ৫০ হাজার টাকার বেশি কেউ সঞ্চয়পত্র কিনতে চাইলে তাকে চেকের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করতে হবে।
বর্তমানে সঞ্চয়পত্রগুলোর মধ্যে পাঁচ বছর মেয়াদি পরিবার সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষে ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ, পাঁচ বছর মেয়াদি পেনশন সঞ্চয়পত্রের সুদের হার ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ, পাঁচ বছরমেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের সুদহার ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ, তিন বছর মেয়াদি মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের সুদহার ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ ও তিন বছর মেয়াদি ডাকঘর সঞ্চয়পত্রের সুদের হার ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ বিদ্যমান রয়েছে।