নতুন শিল্পে গ্যাস-বিদুৎ সরবরাহের ওয়াদা জ্বালানি উপদেষ্টার

সেমিনারে বক্তব্য রাখছেন জ্বালানি উপদেষ্টানতুন শিল্প উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে গ্যাস এবং বিদ্যুৎ সরবরাহের ওয়াদা করলেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বীরবিক্রম। বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে তিনি এই ওয়াদা করেন। তিনি বলেন, ‘আমি নতুন শিল্প উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে ওয়াদা করছি— তাদের গ্যাস এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে সরকার।’

রাজধানীর কাওরান বাজারে পেট্রোসেন্টারে জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা। এছাড়া,জ্বালানি সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনীম, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মো. ফায়জুল্লাহ এবং বিপিসি’র চেয়ারম্যান আকরাম আল হোসেন সেমিনারে বক্তব্য রাখেন।

তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘আমরা বিপুল পরিমাণ জনগোষ্ঠীর চাপের মধ্যে দেশের উন্নয়ন করছি, যা বিশ্ববাসীর কাছে বিস্ময়কর। এখন আমাদের উচিত প্রকৌশল শিল্পের প্রতি জোর দেওয়া। সরকার শিল্পকে উৎসাহিত করতে ১০০ ইপিজেড করছে। এরমধ্যে নতুন ১০টি ইপিজেড উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে।’ শিল্প স্থাপনে বৈচিত্র্য এনে জ্বালানি সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ভোলার গ্যাস বাইরে আনতে পাইপ লাইন করার জন্য জরিপ হচ্ছে। আর ছাতকের গ্যাস তোলার জন্য আইনি জটিলতা কাটানোর চেষ্টা করছে সরকার।’ একই সঙ্গে বছর শেষে এলএনজি সরবরাহে গ্যাস খাতে ভারসাম্য আসবে বলে মনে করেন তিনি।

জ্বালানি সচিব বলেন, ‘শিল্পে জ্বালানি সরবরাহ আমাদের কাছে বেশি জরুরি। এজন্য আবাসিকের চেয়ে শিল্পে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানো হচ্ছে। আবাসিকের সমস্যা সমাধানে এলপিজি ব্যবহার বাড়াতে হবে। এজন্য এলপিজির দাম কমানোর চিন্তা ভাবনা করছে সরকার। প্রয়োজনে বড় বড় সিলিন্ডার তৈরি করে তাতে এলপিজি সরবরাহ করা হবে। তেলের দাম সমন্বয়ে একটি ফর্মুলা করা হবে। উদ্ভাবনি ক্ষমতা প্রয়োগ করে জ্বালানি ব্যবহারে নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।’

পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান বলন, ‘আমরা জ্বালনি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাগরে এবং স্থলভাগে নতুন উদ্যোমে কাজ করে যাচ্ছি। এজন্য নতুন নতুন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘জ্বালানি উৎপাদনের সঙ্গে সাশ্রয়ের প্রতি সাধারণ মানুষকে আগ্রহী করে তোলা হচ্ছে।’

বিপিসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় প্রতিদিন কোটি টাকা লোকশান হচ্ছে। ইস্টার্ন রিফাইনারির দ্বিতীয় ইউনিট নির্মাণ শেষ হলে দেশে পরিশোধন ক্ষমতা বাড়বে। এতে লোকশান কমে আসবে।এখন দেশে অপরিশোধিত ১১ লাখ ৭৪ হাজার এবং পরিশোধিত ৫৫ লাখ ৬৭ হাজার মেট্রিকটন তেল আমদানি করা হচ্ছে। জ্বালানি তেল খালাস সহজ করার জন্য সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং টার্মিনাল (এসপিএম) করা হচ্ছে।