আধুনিক মিটার ‘এএমআই’ চালু করতে যাচ্ছে ডিপিডিসি





41286876_321037925297656_7993374002636652544_n

গ্রাহকদের আধুনিক সেবা দিতে আধুনিক মিটার ব্যবস্থা বা স্মার্ট গ্রিড ও অ্যাডভ্যান্স মিটারিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার (এএমআই) বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি)। এতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কেন্দ্রীয়ভাবে তথ্য জমা হবে। কত বিদ্যুৎ ব্যবহার হয় তা পরিমাপ করা যাবে। ভোল্টেজ নিরীক্ষণ করা যাবে। সর্বোপরি বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে বলে ডিপিডিসি জানিয়েছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ ২০১৮ উপলক্ষে আয়োজিত মেলায় এই মিটার উপস্থাপন করেছে ডিপিডিসি।  তিন দিনের এ মেলা গত বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) শুরু হয়েছে।  
ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ান বলেন, ‘স্মার্ট গ্রিড বলতে বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে সঞ্চালন হয়ে বিতরণে গ্রাহকের মিটার পর্যন্ত দ্বিমুখী নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা। এটা সর্বাধুনিক ব্যবস্থা। এতে সেবাদানকারী ও গ্রাহকদের মধ্যে যোগাযোগ হয়। এতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কেন্দ্রীয়ভাবে তথ্য জমা হবে। কত বিদ্যুৎ ব্যবহার হয় তা পরিমাপ করে। নিজে নিজেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ভোল্টেজ নিরীক্ষণ করে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ডিপিডিসি-ই প্রথম এএমআই চালু করতে যাচ্ছে।’
জানা গেছে, এই মুহূর্তে কোন উপকেন্দ্রে কী পরিমাণ বিদ্যুৎ প্রবাহিত হচ্ছে, কোথাও কোনও লোডশেডিং হচ্ছে কিনা, ভোল্টেজ, পাওয়ার ফ্যাক্টর, হারমোনিক্স ইত্যাদি জানা যাবে।এর ফলে লোডশেডিং হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। গুরুত্বপূর্ণ ফিডার বিকল হলে সার্ভার থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এসএমএস (সর্তক বার্তা) পাওয়া যাবে। যথাযথ এনার্জি অডিটিংয়ের মাধ্যমে ফিডারভিত্তিক ব্যবহারিক লোকসান (সিস্টেম লস) কমানো যাবে। ডিপিডিসির নেটওয়ার্কের পাওয়ার ফ্যাক্টর উন্নত করার জন্য বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যাবে। অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ বিদ্যুৎবিভ্রাটে পড়বে না। বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে বলে ডিপিডিসি জানায়।



এদিকে প্রতিবারের মতো এবারও মেলায় নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদন জমা নিয়েছে ঢাকার দুই বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা ডেসকো ও ডিপিডিসি। ডিপিডিসি জানায়, গত ৬ সেপ্টেম্বর মেলা শুরু হওয়ার পর থেকে আজ শেষদিন শনিবার দুপুর পর্যন্ত তারা ১৫০টি নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদনের বিপরীতে ডিমান্ড নোট (চাহিদাপত্র) ইস্যু করেছে।
ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহিদ সারওয়ার বলেন, এবারের মেলায় শুধু বিদ্যুৎ সংযোগ নয়, তারা অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার সব ধরনের পদ্ধতি নিয়ে আসার চেষ্টা করেছে। যাতে করে গ্রাহকরা সহজেই বিদ্যুৎ বিল দিতে পারেন।
তিনি জানান, তিন দিনে ১৫২টি নতুন সংযোগের বিপরীতে তারা ১৪২টি ডিমান্ড নোট ইস্যু করেছেন। খুব শিগগির এসব গ্রাহকের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে।