বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় সফররত ভারতের খাদ্য সচিব মি. রাভিকান্তের সঙ্গে মতবিনিময় করে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত শ্রী হর্ষবর্ধন শ্রিংলা উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারতে পাট পণ্য রফতানিতে আরোপিত অ্যান্টিডামপিং প্রত্যাহার এবং ভোজ্য তেল রফতানিতে জটিলতা দূর করার আহ্বান জানানো হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে আরও চারটি বর্ডারহাট চালুর করতে একমত হয়েছে।’
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধান রফতানি পণ্য তৈরি পোশাক কাজে ব্যবহৃত তুলা ও চালসহ রফতানি কাজে ব্যবহৃত অন্যান্য পণ্য আমদানি করে থাকে। গত অর্থবছর বাংলাদেশ ৮৭৩ দশমিক ২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য ভারতে রফতানি করেছে, একই সময়ে আমদানি করেছে ৮ হাজার ৬১৯ দশমিক ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। উভয়দেশ চলমান বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। এ জন্য বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধি করতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ভোজ্য তেল রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে ভারতে চাহিদা অনুযায়ী ভোজ্যতেল রফতানি করছে।’
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শুভাশীষ বসু, ভারতের প্রতিনিধি দলে ফুড অ্যান্ড পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশনের পরিচালক এবং বাণিজ্য বিভাগের কৃষিপণ্য রফতানির পরিচালক এসময় উপস্থিত ছিলেন।