পাঁচ মাসে রফতানি আয় ১৭০৭ কোটি ডলার

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো এই অর্থবছরের (২০১৮-১৯) প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর)  রফতানি আয় হয়েছে ১ হাজার ৭০৭ কোটি ৩৭ লাখ ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২ শতাংশ বেশি। বুধবার (৫ ডিসেম্বর) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত পরিসংখ্যানে এই তথ্য জানা গেছে।

গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে রফতানি আয় অর্জিত হয়েছিল ১ হাজার ৪৫৬ কোটি মার্কিন ডলার। এই হিসেবে গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের পাঁচ মাসে রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭ দশমিক ২৪ শতাংশ।

ইপিবির পরিসংখ্যান অনুযাযী, এই অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ৫২৩ কোটি ডলার। এই সময়ে আয় হয়েছে এক হাজার ৭০৭ কোটি মার্কিন ডলার। 

ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, একক মাস হিসেবে নভেম্বরে ৩৪২ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। এটি গত বছরের নভেম্বরের চেয়ে ১১ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেশি। গত বছরের নভেম্বরে রফতানি হয়েছিল ৩০৫ কোটি ডলারের পণ্য।

ইপিবির তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, জুলাই-নভেম্বর সময়ে মোট রফতানি আয়ে বড় অবদান রেখেছে তৈরি পোশাক খাত। এই সময়ে তৈরি পোশাক খাত থেকে আয় হয়েছে ১ হাজার ৪১৮ কোটি ৬২ লাখ ডলার। এ সময়ে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ২৭৬ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। এ হিসাবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ শতাংশ। গত বছর একই সময়ে আয় বেড়েছে ১৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ।

গত ৫ মাসে কৃষিপণ্য রফতানি করে আয় হয়েছে ৪৫ কোটি ৮৬ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৭৭ শতাংশ বেশি। প্লাস্টিক পণ্যের প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ৩০ শতাংশ। এ সময়ে আয় হয়েছে চার কোটি ৮৭ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৪ দশমিক ৮১ শতাংশ বেশি। তবে পাট ও পাটপণ্য রফতানি আয় ২২ শতাংশ কমেছে। এ খাতে আয় দাঁড়িয়েছে ৩৫ কোটি ১৫ লাখ ডলার। একইভাবে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য খাতের রফতানি আয়ও কমেছে। এ খাতে আয় হয়েছে ৪৩ কোটি ৪৭ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ শতাংশ কম। গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বিভিন্ন পণ্য রফতানি করে তিন হাজার ৬৬৬ কোটি ৮২ লাখ ডলার আয় হয়। এর মধ্যে ৩০ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলারই এসেছিল তৈরি পোশাক থেকে।

প্রসঙ্গত, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পণ্য রফতানি করে ৩৯ বিলিয়ন (তিন হাজার ৯০০ কোটি) ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।