‘নির্বাচনি ব্যয় বহনের সামর্থ্য না থাকায় অনেক যোগ্য প্রার্থী অংশ নিতে পারছেন না’

সিপিডির সংবাদ সম্মেলননির্বাচনি ব্যয় বহনের সামর্থ্য না থাকায় অনেক যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। রবিবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গ তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সিপিডি।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘নির্বাচনি ব্যয় এখন অনেক যোগ্য ও সৎ প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে বাধ্য করছে। নির্বাচনি ব্যয়ই এখন গণতন্ত্রের প্রতিবন্ধক হিসেবে পরিণত হচ্ছে কিনা, সেটা আমাদের বিবেচনা করার সময় হয়েছে।’
এছাড়া নির্বাচনি ইশতেহারে শুধু প্রত্যাশার কথা না জানিয়ে বাস্তবায়নের পথ দেখাতেও আহ্বান জানান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। নির্বাচনের প্রার্থীদের সম্পদের বিবরণী আরও গুরুত্ব দিয়ে যাচাই-বাছাই করা উচিত বলে মনে করেন তিনি। তার মতে, নির্বাচনি ইশতেহারে অর্থনৈতিক বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। আর রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনি ইশতেহারে, ব্যাংক ও পুঁজিবাজারের শৃঙ্খলা এবং উন্নয়নকে গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শও দেন তিনি।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘হয়তো নির্বাচনি ইশতেহারে উনারা (রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা) অনেক গগনস্পর্শী উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষা আমাদের সামনে তুলে ধরবেন। কিন্তু সেটাকে অর্জন করার পদ্ধতি এবং অর্থায়নের সুযোগ উনাদের একই সঙ্গে বলতে হবে।’
তিনি জানান, গত ১০ বছরে অর্থনীতিতে অনেক উন্নতি হয়েছে। তবে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা না থাকায় সমাজে বৈষম্য বেড়ে গেছে। পাশাপাশি অনেক ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার পতন হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের দেশ থেকে সম্পদ যে পাচার হচ্ছে, জিরো টলারেন্স নীতির মাধ্যমে এটাকে আমাদের মোকাবিলা করতে হবে।’ তিনি উল্লেখ করেন, পাচার হচ্ছে মূলত বিভিন্ন রকম দুর্নীতি ও সাধারণ জনগণের অর্থ লুট করার পর। এছাড়া নির্বাচনের আগে আমদানির নামে অর্থপাচার ঠেকাতেও সতর্ক থাকার কথা বলেন তিনি।