কর্মশালায় বক্তারা বলেন, সরকারি হিসেবে এখন দেশের জাতীয় গ্রিডভুক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ১৭ হাজার ৬৩৭ মেগাওয়াট। গ্রীষ্মে চাহিদা থাকলেও শীতে এই চাহিদা কমে যায়।এখন শীতে দিনের বেলা ৫ হাজার ৭৯৮ মেগাওয়াট ও সান্ধ্যকালীন ৮ হাজার ৩৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।কর্মশালায় বলা হয়, এখন শীতের সময় বিদ্যুতের চাহিদা একেবারেই নেমে আসে।কিন্তু এইসব কেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জ সরকারকে পরিশোধ করতে হয়।অর্থাৎ কেন্দ্র বসে থাকলেও নিয়োম অনুযায়ী সরকার অর্থ পরিশোধ করে। যা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে বিদ্যুৎখাতকে। জানানো হয়, তিন হাজার মেগাওয়াটের মতো ক্যাপটিভ পাওয়ার রয়েছে। এই ক্যাপটিভ পাওয়ারগুলো শীতের সময় বন্ধ রেখে গ্রিডের বিদ্যুৎ দেওয়া সম্ভব হলে সাশ্রয় করা সম্ভব। ক্যাপটিভ পাওয়ারে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের অপচয় হয় বলে অনুষ্ঠানে উল্লেখ করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘দেশের ৯২ ভাগ লোক বিদ্যুৎ পাচ্ছে।’ এ অগ্রগতিতে জ্বালানি বিভাগের অবদান স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘আরও সমন্বিতভাবে কাজ করার উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান ভবিষ্যৎ অগ্রগতিতে কীভাবে আরও অবদান রাখতে পারবে, তা সার্বিকভাবে পর্যালোচনা করা সময়ের দাবি।’
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে। ইলেকট্রিক চার্জিং স্টেশন বাড়াতে হবে। কেননা আগামীতে ইলেকট্রিক যানবাহনের সংখ্যা বাড়বে। স্মার্ট গ্রিড, স্ক্যাডা, অনলাইনে সমস্যা সামাধান ইত্যাদিতে ব্যাপক প্রযুক্তি সংযুক্ত করতে হবে।আমাদের এসব ক্ষেত্রে অভ্যস্ত হতে হবে। জনগণকেও অভ্যস্ত করার উদ্যোগ নিতে হবে।’
বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেছেন, ‘উন্নত বাংলাদেশ গড়তে যে অবকাঠামো লাগবে, তার একটি অঙ্গ বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির অন্যতম নিয়ামক এবং প্রাথমিক জ্বালানি বিদ্যুতের অগ্রগতির প্রাণভোমরা। আজকের কর্মশালার সুপারিশগুলো নিয়ে জ্বালানি বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে করণীয় সভা করা হবে।’
দিনব্যাপী কর্মশালায় ৫টি বিষয় নিয়ে ৫টি সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
বিদ্যুৎ বিভাগ উৎপাদনের ক্ষেত্রে নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এর আগে, ২০৪১ সালে ৫১ হাজার মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে ৬০ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। এখন সেখানে ৮০ হাজার মেগাওয়াট কেন্দ্র নির্মাণের কথা বলা হয়েছে।