২০১৯ সালের সেচের জন্য বাড়তি গ্যাস সরবরাহের অনুরোধ

পেট্রোবাংলা (ফাইল ছবি)প্রতিবছরের মতো ২০১৯ সালের সেচ মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে  ১৩ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট হবে। যা ২০১৮ সালে ছিল ১০ হাজার ৯৫৮ মেগাওয়াট। এজন্য যে গ্যাসের প্রয়োজন হবে। এসময়ের জন্য প্রয়োজনীয় গ্যাস সরবরাহ করতে পেট্রোবাংলাকে অনুরোধ জানানো হয়। পাশাপাশি প্রতিবছরের মতো এ বছরও সেচ পাম্পে রাত ১১টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) বিদ্যুৎ ভবনে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এই অনুরোধ করা হয়।

বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে সভায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বরাষ্ট্র  মন্ত্রণালয়, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, রেলপথ মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটি মন্ত্রণালয়/বিভাগের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জানানো হয়, প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত সেচ মৌসুম থাকে। এ সময় বিদ্যুতের অতিরিক্ত চাহিদা থাকে। গত সেচ মৌসুমে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ১০ হাজার ৯৫৮ মেগাওয়াট। যা ২০১৯ সালের সেচ মৌসুমে বেড়ে হবে ১৩ হাজার  ৫০০ মেগাওয়াট। এ জন্য গ্যাসের চাহিদা রয়েছে বলে সভায় পেট্রোবাংলাকে আগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্যাস সরবারাহের অনুরোধ করা হয়।

বিদ্যুৎ সচিব জ্বালানি পরিবহনে সংশ্লিষ্টদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালানোর অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘কৃষিকে অগ্রাধিকার দিয়ে আমাদের সমন্বিতভাবে কাজ করা উচিত।’ এ সময় বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ি হওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।

সভায় জানানো হয়, মোট অনুমোদিত ৪ লাখ ১৬ হাজার ২৩১ টি সেচ বিদ্যুৎচালিত এবং এর জন্য লোডের পরিমাণ ২ হাজার ৪০৬ দশমিক ৭১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। প্রতিবছরের মতো এবারও সেচ পাম্পগুলোতে রাত ১১টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পিডিবির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ, আরইবির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মঈন উদ্দিন ও পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।