ছয় মাসে রফতানি আয় দুই হাজার ৫০ কোটি ডলার

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোঅর্থনীতির অন্যতম প্রধান সূচক রফতানি আয়ে সুবাতাস বইছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) বিভিন্ন পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ দুই হাজার ৪৯ কোটি ৯৭ লাখ (২০.৪৯ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছে। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৪ দশমিক ৪২ শতাংশ বেশি। বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) রফতানি আয় হয়েছিল ১ হাজার ৭৯১ কোটি ৬০ লাখ ডলার।

আর সদ্য সমাপ্ত ডিসেম্বর মাসে পণ্য রফতানি থেকে আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ২ দশমিক ১৮ শতাংশ বেশি অর্থ দেশে এসেছে। ডিসেম্বরে ৩৪২ কোটি ৬১ লাখ ডলার রফতানি আয় দেশে এসেছে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে আয় হয়েছিল ৩৩৫ কোটি ৩১ লাখ ডলার।

ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে মোট রফতানি আয়ের ৮৩ দশমিক ৩৪ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে। এই খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ। অর্থাৎ ২০ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ১৭ দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলারই এসেছে পোশাক খাত থেকে। এর মধ্যে নিট পোশাক রফতানি থেকে এসেছে ৮৬৫ কোটি ২৬ লাখ ডলার; যার প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪ শতাংশ। এছাড়া ওভেন পোশাক রফতানি করে আয় হয়েছে ৮৪৩ কোটি ২৩ লাখ ডলার; যার প্রবৃদ্ধি ১৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

ইপিবি বলছে, অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ২০ শতাংশের মতো। কিন্তু দ্বিতীয় মাস আগস্টে তা হোঁচট খায়। অবশ্য এর পরের মাস থেকে তৈরি পোশাকসহ সামগ্রিক রফতানিতে ভালো প্রবৃদ্ধি হচ্ছে।

অন্যান্য পণ্যের মধ্যে জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে কৃষিপণ্য রফতানি করে আয় হয়েছে ৫১ কোটি ৬৬ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬৬ দশমিক ৮০ শতাংশ বেশি। তবে এই সময়ে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য খাতে রফানি আয় কমেছে ১৪ দশমিক ১৮ শতাংশ। একইভাবে পাট ও পাটপণ্য রফতানি আয়ও কমেছে। এ খাতে আয় হয়েছে ৪২ কোটি ১০ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৭ শতাংশ কম।