দেশে চশমা তৈরিতে সহযোগিতা দেবে সরকার: বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি (ছবি ফাইল ফটো)বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘আমদানির ওপর নির্ভর না থেকে দেশেই চশমা তৈরি করতে হবে। চশমা একটি জরুরি পণ্য। এর চাহিদাও প্রচুর। চশমার চাহিদার প্রায় পুরোটাই আমদানি করতে হয়। নিজেদের চাহিদা মেটানোর জন্য প্রয়োজনীয় চশমা উৎপাদন করতে হবে, একই সঙ্গে চশমা রফতানিও করা সম্ভব। এজন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবে সরকার।’
বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর কাকরাইলে অবস্থিত ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে বাংলাদেশ চশমা শিল্প ও বণিক সমিতি আয়োজিত আন্তর্জাতিক চশমা মেলা ‘বাংলা অফটিকা-২০১৯’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বে তৈরি পোশাক রফতানি করে সুনাম অর্জন করেছে। উদ্যোগ নিলে চশমা উৎপাদন করা কোনও কঠিন কাজ হবে না। প্রয়োজনে কাঁচামাল আমদানি করে দেশেই চশমা উৎপাদন করতে হবে। আমাদের অনেক দক্ষ জনশক্তি রয়েছে।
তিনি বলেন, সবাই মিলে দেশটাকে এগিয়ে নিতে হবে। বর্তমান সরকারকে বলা হয়, ব্যবসাবান্ধব সরকার। এর সুযোগ চশমা ব্যবসায়ীরাও নিতে পারেন। আগামীতে চশমা ব্যবসায়ীরাও দৃশ্যমান উন্নতি দেখতে পাবেন চশমা উৎপাদনে। দেশে দক্ষ জনশক্তি রয়েছে, উন্নত প্রযুক্তি রয়েছে, সরকার সহযোগিতা দিচ্ছে। চশমা শিল্প না হবার কোনও কারণ নেই।
বাংলাদেশ চশমা শিল্প ও বণিক সমিতির প্রেসিডেন্ট মো. সানাউল্লাহ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিজিএমই -এর সাবেক প্রেসিডেন্ট মো. আতিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ চশমা শিল্প ও বণিক সমিতির সাবেক প্রেসিডেন্ট ও ফেয়ার কমিটির চেয়ারম্যান মো. ফজলুল হক জুয়েল, ভারতের লেন্স টেক অফটিক্যাল লিমিটেডের পরিচালক নোবিন গাইরোলা, সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ নূরুল ইসলাম।
মেলা থেকে ফিরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ব্যক্তিগত উদ্যোগে সম্প্রতি আশুলিয়ায় নিহত তৈরি পোশাক শ্রমিক সুমনের পরিবারকে এক লাখ টাকা অনুদান দেন। নিহত সুমনের স্ত্রী মিসেস তানিয়া এবং নিহত সুমনের বাবা আমীর আলীর হাতে অনুদানের টাকা তুলে দেওয়া হয়। এ সময় বাণিজ্য সচিব মো. মফিজুল ইসলামসহ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।