আগামীতে ভারত-বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি (ছবি: ফোকাস বাংলা)এক সঙ্গে কাজ করলে আগামীতে ভারত-বাংলাদেশের বাণিজ্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ভারতের বিনিয়োগ বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোনের তিনটিতে ভারত বড় ধরনের বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মোংলায় ১১০ একর জমির ওপর স্পেশাল ইকোনমিক জোনের কাজ অল্প দিনের মধ্যেই শুরু করবে। মিরেরসরাইয়ে ১ হাজার একর জমির ওপর এবং ভেড়ামারায় অপর একটি ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।’

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি রবিবার (২৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ড. আদর্শ সুইকার সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দিনাজপুরের চিলাহাটি সীমান্তে একটি স্থলবন্দর নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ প্রস্তাব দিয়েছে। চলমান বর্ডারহাটের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য আমরা উভয় দেশ একমত হয়েছি। চলমান বর্ডার হাটের পাশাপাশি আরও ছয়টি বর্ডারহাট চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী মার্চে উভয় দেশেরে মধ্যে পর্যটকবাহী নৌযান চালু হবে। এতে উভয় দেশের পর্যটকরা নৌপথে ভ্রমণ শুরু করবেন।’

টিপু মুনশি বলেন, ‘বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা ইস্যুর ক্ষেত্রে জটিলতা নিরসনের জন্য ভারতকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। বাংলাদেশি পণ্য ভারতে রফতানির ক্ষেত্রে সমস্যাগুলো দূর করতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ব্যবধান দূর করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উভয় দেশের বর্তমান বাণিজ্য ৯ হাজার ৪৯২ দশমিক ৬৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত বছর ভারতের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের রফতানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে ভারতে বাংলাদেশের পণ্যের রফতানির পরিমাণ ছিল ৬৭২ দশমিক ৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৭৩ দশমিক ২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।’

ভারতের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আগামী কিছুদিনের মধ্যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পর্যটকবাহী নৌযান চালু হবে। প্রথমে ভারতের পর্যটক দল নৌপথে বাংলাদেশের সুন্দরবন ভ্রমণ করবে। ভারত বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে রাজধানী ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে ১৫টি ভিসা ইস্যু সেন্টার চালু করেছে। চলমান বর্ডার হাটের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ দেওয়া হবে।’

এ সময় বাণিজ্যসচিব মো. মফিজুল ইসলাম ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।