বাংলাদেশে সুতা রফতানি করতে চায় নেপাল





_MG_4272বাংলাদেশের আমদানিকারকদের কাছে সুতা রফতানির আগ্রহ প্রকাশ করেছে নেপাল। বিকেএমইএ নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এই আগ্রহের কথা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ধন বাহাদুর ওলি।
সোমবার (২৮ জানুয়ারি) নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ’র ঢাকা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে নেপালি রাষ্ট্রদূত এ আগ্রহের কথা বলেন।
বিকেএমইএ কার্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুলভ চৌধুরীর সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিকেএমইএ’র সহ-সভাপতি মনসুর আহমেদ। এছাড়া সংগঠনটির অপর সহ-সভাপতি ফজলে শামীম এহসান, পরিচালক মোস্তফা জামাল পাশা, মোস্তফা মনোয়ার ভূঁইয়া, শহীদ উদ্দিন আহমেদ আজাদ, নেপাল ইয়ার্ন প্রডিউসার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান পবন কুমার গোলিয়ান, রিলায়েন্স স্পিনিং মিল লি., নেপাল-এর পরিচালক অক্ষয় গোলিয়ানসহ বিকেএমইএ ও নেপাল দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সম্প্রতি নেপাল তাদের চারটি স্পিনিং কারখানার সাহায্যে পলিয়েস্টার, ভিসকস, ল্যাকরাসহ কয়েক ধরনের সুতা উৎপাদন করছে। যা তুরস্ক, ভারত, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে রফতানি হচ্ছে। ভৌগলিক অবস্থানগত দিক থেকে কাছাকাছি হওয়ায় কম সময় ও কম খরচে বাংলাদেশে সুতা রফতানির সুযোগ রয়েছে নেপালের।
বৈঠকে বলা হয়, ভারত ও পাকিস্তানের তুলনায় প্রতিযোগিতামূলক দামে বাংলাদেশ নেপালের কাছ থেকে সুতা পেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে বিদ্যমান অবস্থা রফতানির ক্ষেত্রে বড় বাধা বলে উল্লেখ করা হয়। এক্ষেত্রে সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে সুতা রফতানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা দূর করতে বিকেএমইএ নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা কামনা করে নেপালের প্রতিনিধি দল।
বিকেএমইএ’র পক্ষ থেকে বৈঠকে জানানো হয়, নেপালের কাছ থেকে সুতা আমদানি সহজতর হলে কম সময় ও কম খরচে পাওয়া সুতা বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের উৎপাদন ও রফতানি বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। রফতানির বাধা দূর করতে নেপালের প্রতি বিকেএমইএ’র সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।