উৎপাদন বাড়াতে ইরির সহায়তা অব্যাহত থাকবে: কৃষিমন্ত্রী

ইরি’র প্রতিনিধিদলের সঙ্গে কৃষিমন্ত্রীর মতবিনিময় (ছবি: পিআইডি)কৃষির সমস্যা মোকাবিলা করে উৎপাদন বৃদ্ধিতে ইরির সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘কৃষি মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ইরি) পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা নিরাপদ খাদ্যে সফল হবো। উভয়েই একসঙ্গে কৃষির সাফল্যের অগ্রযাত্রাকে টেকসই করবো। ইতোপূর্বে যৌথভাবে উদ্ভাবন ভিটামিন এ সমৃদ্ধ গোল্ডেন রাইস। যার ফলে দেশের ভিটামিন এ এরঅভাব অনেকাংশে দূর হবে। এভাবে পারস্পরিক সাহায্য সহযোগিতার ফলে কৃষি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ।’

বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে ইরি’র প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময়কালে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মতবিনিময় সভায় যৌভভাবে চাল ভিত্তিক কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থা, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং লাভজনক করার জন্য ৫ বছর মেয়াদি একটি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ছিল মূল আলোচ্য বিষয়। ইরি’র সাত সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ড. হোমনাথ বানদ্রি।   

উল্লেখ্য, ক্যারোটিন সমৃদ্ধ গোল্ডেন রাইস বিরি-২৮ ও ২৯ এর মতোই এর উৎপাদন স্বাভাবিক জাতের ধানের ন্যায়। পরিবেশ অধিদফতরের  ছাড়পত্রের অপেক্ষায় রয়েছে।  আগামী দুই তিন মাসের মধ্যে এটির ছাড়পত্র পাওয়া যাবে, তখন সবার জন্য উন্মুক্ত হবে বলে কৃষি মন্ত্রীকে তারা অবহিত করেন।

মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ইরি এশিয়ায় খাদ্য নিরাপত্তায় বড় ভূমিকা রেখে আসছে। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে আমাদের দেশের কৃষি উন্নয়নে তাদের অনেক অবদান রয়েছে। বর্তমান কৃষি বিপ্লবেও ইরি’র অংশীদারিত্ব রয়েছে।’ এসময় উপকূলীয় লবণাক্ত অঞ্চলে কৃষির উন্নয়নে সহায়তা চান কৃষিমন্ত্রী।