স্থলভাগে এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনে ইওআই দিয়েছে আরপিজিসিএল





এলএনজি টার্মিলাল (সংগৃহীত ছবি)স্থলভাগে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল স্থাপনের জন্য এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেন্ট (ইওআই) বা আগ্রহপত্র দিয়েছে সরকারি খাতের রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (আরপিজিসিএল)। মহেশখালীর মাতারবাড়িতে তারা এই টার্মিনাল করতে চায়।
এর আগে গত বছর মহেশখালীতে ভাসমান টার্মিনাল স্থাপন করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির স্থাপন করা সেই টার্মিনাল থেকে বর্তমানে ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস চট্টগ্রামে সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়া একই জায়গায় সামিট গ্রুপ আরও একটি ভাসমান টার্মিনাল স্থাপনের কাজ করছে। আগামী এপ্রিলের মধ্যে এটি থেকে এলএনজি সরবরাহের কথা রয়েছে।
আরপিজিসিএলের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, এই আগ্রহপত্রের মাধ্যমে বিদেশি আগ্রহী কোম্পানিরা বাংলাদেশে ল্যান্ডবেইজ টার্মিনাল স্থাপনের আগ্রহ দেখাতে পারবে। যদি অনেকগুলো কোম্পানি আগ্রহ দেখায় তখন দরপ্রস্তাব আহ্বান করা হবে। দরপ্রস্তাব মূল্যায়ন করেই টার্মিনাল স্থাপনের কাজ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, এটি ল্যান্ডবেইজ টার্মিনাল স্থাপনের প্রাথমিক পদক্ষেপ। বিদেশি অভিজ্ঞ কোম্পানি আগ্রহ দেখালেই কাজ দ্রুত এগিয়ে যাবে বলে এই কর্মকর্তা আশা প্রকাশ করেন।
আরপিজিসিএল জানায়, এই আগ্রহপত্রের মাধ্যমে নকশা, প্রযুক্তি, দরপ্রস্তাব, নির্মাণ ও টার্মিনাল পরিচালনার বিষয়ে আগ্রহী কোম্পানিগুলোকে জানাতে হবে। ল্যান্ডবেইজ এই টার্মিনালের মাধ্যমে কোম্পানিকে কমপক্ষে ৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন এলএনজি আমদানি, পরিচালনা, মজুদ এবং রিগ্যাসিফিকেশনের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ২০ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পে অর্থ সংস্থানও সেই কোম্পানিকেই করতে হবে।
আগ্রহপত্র অনুযায়ী, ২০২৩ সালের মধ্যে এই টার্মিনাল স্থাপনের কাজ শেষ করতে হবে। আগামী ২০ মার্চের মধ্যে আগ্রহী কোম্পানিগুলোকে আগ্রহপত্র জমা দিতে হবে। এরপর কোম্পানিগুলোর আগ্রহপত্র যাচাই-বাছাই করে আগামী ২৯ আগস্টের মধ্যে তালিকা করা হবে। এরপরই চূড়ান্ত আলোচনা ও দরপ্রস্তাব দেখে যোগ্য কোম্পানিকে কাজ দেওয়া হবে।
এর আগে এলএনজির স্থলভাগে টার্মিনাল নির্মাণে ৪টি কোম্পানিকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করেছিল জ্বালানি বিভাগ। ভারত, চীন, মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরের ওই চার কোম্পানির সঙ্গে অবশ্যই পালনীয় নয় এমন সমঝোতা স্মারক (নন-বাইন্ডিং এমওইউ) অথবা যৌথমূলধনী কোম্পানি গঠন চুক্তি করার জন্য গত নভেম্বরে নীতিগত অনুমোদন দেয় জ্বালানি বিভাগ।